কলকাতা : আর জি কর মেডিক্যালে খুন-ধর্ষণ মামলায় চার্জ গঠনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হল। এখনও পর্যন্ত খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত হিসেবে শুধুমাত্র সঞ্জয় রায়েরই নাম উল্লেখ করেছে সিবিআই। ৯ অগাস্ট তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের ঘটনার ৮৭ দিনের মাথায় ধৃত সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হল। ১১ নভেম্বর থেকে প্রত্যেক দিন চলবে শুনানি।
তবে সোমবারই আদালত থেকে বেরিয়ে প্রিজন ভ্যানে করে বেরিয়ে যাওয়ার সময় চিৎকার করে সঞ্জয় রায় দাবি করে , সে নির্দোষ। আরও বিস্ফোরক দাবি শোনা যায় তার গলায়। সঞ্জয় বলে, 'আমার কোনও কথা শোনেনি। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। আমার নামে সব দোষ দেওয়া হচ্ছে। আমি ধর্ষণ-খুন করিনি। আমাকে বলতে দেওয়া হয়নি, আমাকে নীচে নামিয়ে দেওয়া হল। আমি পুরোপুরি নির্দোষ আমায় ফাঁসানো হয়েছে।'
এর আগেও সঞ্জয় রায় নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছে। তবে এভাবে সংবাদমাধ্যমের সামনে গলা উঁচিয়ে দাবি করতে শোনা যায়নি তাকে।
অন্যদিকে আলিপুরে CBI-এর বিশেষ আদালতে আর্থিক দুর্নীতি মামলারও শুনানি শেষ হয়েছে। আদালতে সিবিআই দাবি করে, গভীর ষড়যন্ত্র হয়েছে। 'শুধু আর জি কর নয়, একাধিক হাসপাতালে সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে মা তারা ট্রেডার্স', আদালতে দাবি করে কেন্দ্রীয় সংস্থা। অন্যদিকে ধৃত বিপ্লব সিংহর আইনজীবীর দাবি, সিবিআই ধর্ষণ-খুনের মামলায় আর কাউকে গ্রেফতার করতে পারছে না। তাই দুর্নীতির মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।
আর জি কর মেডিক্যালে ধর্ষণ, খুনের ঘটনা সামনে আসার পর, বিভিন্ন মহলে একটাই প্রশ্ন উঠেছিল, এটা ধর্ষণ না গণধর্ষণ? একজন যুক্ত না একাধিক? এই পরিস্থিতিতে আপাতত সিবিআইয়ের প্রথম চার্জশিটে শুধুমাত্র সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়েরই নাম উল্লেখ করা হয়।
তবে শুরু থেকেই আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি, এ কাজ একজনের নয়, ধর্ষণ ও খুনে জড়িত একাধিক। আর জি কর মেডিক্যালে ধর্ষণ, খুনের ৫৮ দিনের মাথায় প্রথম চার্জশিট পেশ করেছিল সিবিআই। তার সঙ্গে প্রায় ৬০০ পাতার নথি পেশ করা হয়, যার মধ্য়ে ছিল ১২৮ জন সাক্ষীর বয়ান। এই সপ্তাহেই সুপ্রিম কোর্টে ফের আর জি কর মামলার শুনানি রয়েছে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে