প্রকাশ সিনহা, কলকাতা : সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতারের পর কলকাতা পুলিশ সূত্রে দাবি করা হয়, সঞ্জয় অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছে। যাবতীয় তথ্য় প্রমাণও সেদিকেই স্পষ্ট ইঙ্গিত করছে। সিবিআই ঘটনার তদন্তভার হাতে নেওয়ার পর আদালতে রিপোর্ট পেশ করে জানায় - আর জি কর-কাণ্ডে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৪ নম্বর ধারায় সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও ১০৩-এর ১ নম্বর ধারায় টালা থানায় খুনের মামলা রুজু হয়েছে।  অর্থাৎ সিবিআই-ও মনে করছে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় সঞ্জয় অন্য়তম অভিযুক্ত।


ধৃত সঞ্জয়ের আইনজীবীর দাবি


ধৃত সঞ্জয়ের আইনজীবীর দাবি তাঁর মক্কেল নির্দোষ।  আইনজীবী কবিতা সরকারের দাবি, চিকিৎসককে খুন-ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে সঞ্জয় জড়িত নয়। আইনজীবী জানান, তাঁর মক্কেলের দাবি,  সে একজন প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে মেয়েটির মৃতদেহ দেখতে পায়। ঘরে গিয়ে হঠাৎ করে ভোরবেলা। আর এই ঘটনায় সে যুক্ত নয়। এই কথাই সে বারবার বলছে। 


কিন্তু উঠে আসছে একটি প্রশ্ন। তাহলে সঞ্জয়ের ব্লুটুথ হেডফোনের ছেড়া তারটি কীভাবে পাওয়া গেল দেহ যেখানে উদ্ধার হয়, সেখান থেকে ? উকিলের দাবি, ও যখন বেরিয়ে আসছিল ঘর থেকে, মৃতদেহ দেখে আসার পর। দৌড়ে ছুটে বেরিয়ে আসার সময় হেডফোনটা ওখানে পড়ে যায় হয়ত। তারপর হয়তো অন্য কেউ ওই মৃতদেহের পাশে ওটা রেখে দেয়, কিন্তু ওটা মৃতদেহের পাশে পড়ে ছিল না।  


৯ অগাস্টের  ভোর ৪.০৩-এর একটি ছবি ইতিমধ্য়েই সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। তাতে স্পষ্ট দেখা যায়, আর জি কর মেডিক্য়াল কলেজের চারতলার করিডর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয়। সেই জায়গাটি চেস্ট ওয়ার্ড। সেই করিডর দিয়েই সেমিনার রুমে যাওয়া যায়, যেখান থেকে উদ্ধার হর তরুণী চিকিৎসকের দেহ। তখন কিন্তু সঞ্জয়ের গলায় ছিল ছেঁড়া হেডফোন। এই অবস্থায় ধৃতের আইনজীবী তাঁর মক্কেলের নির্দোষ দাবি করলেও, আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, যে কোনও আইনজীবীর এটাই কাজ। কিন্তু,তার মানে সেটা সত্য়ি কিংবা  মিথ্যা, তা বলার মতো সময় এখনও আসেনি। 


ওই ঘটনায় শুধু সঞ্জয়,না কি হাসপাতালেরই একাধিক ব্য়ক্তি জড়িত, তদন্ত করে সেই সত্য় উদ্ঘাটন করাই এখন সিবিআই-এর কাজ। সুপ্রিম কোর্টে তা নিয়ে সিবিআই রিপোর্টও জমা দেবে। সেই রিপোর্টে কী থাকবে, তা অত্য়ন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। 


 


আরও পড়ুন, দেহরক্ষী আফসারের স্ত্রীরও RG করে ক্যাফে ! টেন্ডার পাইয়ে দিতেও সন্দীপের বিরাট খেলা?