দেহরক্ষী আফসারের স্ত্রীরও RG করে ক্যাফে ! টেন্ডার পাইয়ে দিতেও সন্দীপের বিরাট খেলা?

'সন্দীপ ঘোষের নিরাপত্তারক্ষী হওয়ার সূত্রেই আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বিভিন্ন কাজের বরাত পেয়েছিলেন আফসার।'

Continues below advertisement

পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা : সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ। তা যে সম্প্রতি সামনে এল, এমনটা নয়।  বহু আগে থেকে  সন্দীপের বিরুদ্ধে নানা মারাত্মক অভিযোগ, অথচ কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি তাঁর বিরুদ্ধে। বহাল তবিয়তেই থেকে গেছিলেন সন্দীপ ঘোষ। এখন সিবিআই যখন আর্থিক অনিয়মের তদন্তে নেমে সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করেছে, তখন সামনে আসছে তার প্রভাব-প্রতিপত্তির একাধিক উদাহরণ! 

Continues below advertisement

আলিপুরের বিশেষ CBI আদালতে জমা দেওয়া রিপোর্টে কেন্দ্রীয় এজেন্সি দাবি করেছে, ভেন্ডারদের বিভিন্ন কাজের বরাত দেওয়া নিয়ে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে যে অভিযোগ জমা পড়েছিল, সেই সংক্রান্ত আসল নথি ও প্রতিলিপি উদ্ধার হয়েছে সন্দীপ ঘোষের বাড়ি থেকেই অর্থাৎ যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তাঁর বাড়িতেই অভিযোগের সব ফাইল ছিল!যিনি অভিযুক্ত, তাঁর কাছেই কীভাবে থাকবে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের কাগজপত্র? প্রশ্ন উঠছেই। 

তেমনই আরেকটি চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এসেছে সামনে। কয়েকদিন আগেই একটি ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল, কী সাঙ্ঘাতিক ঔদ্ধত্য ও দাপট ছিল সন্দীপের অতিরিক্ত নিরাপত্তারক্ষী আফসার আলির। সে শুধু অধ্যক্ষ মানস মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে হুমকির সুরে কথা বলছিল তা নয়,  প্রয়োজনে 'CM দিদি'র নাম টেনে নিজের প্রভাবের পরিচয় দেওয়ার চেষ্টা করছিল। সেই আফসার আলি সম্পর্কেও চাঞ্চল্যকর তথ্য তুলে ধরেছে CBI.

আদালতে জমা দেওয়া রিপোর্টে CBI দাবি করেছে, সন্দীপ ঘোষ আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে অধ্যক্ষ থাকাকালীন, ২০২২-২৩ সালে নিয়ম না মেনে ৮৪ জন MBBS হাউস স্টাফ নিয়োগ করা হয়।  

আর জি কর মেডিক্য়াল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের পাশাপাশি তাঁর অতিরিক্ত নিরাপত্তারক্ষী আফসার আলিকেও গ্রেফতার করেছে CBI। তাকে আদালতে পেশ করে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা আদালতে দাবি করে,  সন্দীপ ঘোষের নিরাপত্তারক্ষী হওয়ার সূত্রেই আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বিভিন্ন কাজের বরাত পেয়েছিলেন আফসার।  আর জি কর মেডিক্য়ালে 'ক্যাফেটেরিয়া' খুলেছিলেন আফসারের স্ত্রী। ক্য়াফে তৈরির জন্য যে টেন্ডার ডাকা হয়েছিল, তাতেও গরমিল ছিল বলে আদালতে দাবি করেছে CBI। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, টেন্ডারে অংশ নেয় ৪টি সংস্থা। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় ,খাতায় কলমে ৪টি সংস্থা টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অংশ নিলেও, সবার নথিতেই দেখা গেছে হাতের লেখা একজনেরই। অর্থাৎ মনে করা হচ্ছে,  আফসারকে বরাত পাইয়ে দিতেই এই আইওয়াশ টেন্ডার ডাকা। শুধু তাই নয়, বরাত পাওয়ার পর যে ১ লক্ষ টাকা ফেরতযোগ্য থাকে না, সেটাও আফসারের স্ত্রীর সংস্থাকে সন্দীপ ঘোষ ফেরত পাইয়ে দিয়েছিলেন।  

আরও পড়ুন : 'সব মিথ্যে, কিচ্ছু করেনি', ইডির জন্য বাড়ির তালা খুলে, কোন বিস্ফোরক দাবি সন্দীপের স্ত্রীর?

 

Continues below advertisement
Sponsored Links by Taboola