RG Kar Case : গণধর্ষণ ? সাজাপ্রাপ্ত ছাড়া কি আছে আরও কেউ? হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে সিবিআই

RG Kar Case Update : 'এই তদন্তের কোথাও গিয়ে কি আপনাদের (সিবিআই) মনে হয়েছে যে এটা গণ ধর্ষণের ঘটনা?' সিবিআইকে প্রশ্ন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের

Continues below advertisement


সৌভিক মজুমদার, কলকাতা : আরজিকর মামলায় নির্যাতিতার মা বাবা ও আন্দোলনকারীদের প্রশ্নই এবার উঠে শোনা গেল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতির গলায়। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ প্রশ্ন তুললেন, সিবিআই কি মনে করছে, সাজাপ্রাপ্ত সঞ্জয় রায়ই কি একমাত্র নাকি আরও কেউ রয়েছে এই ঘটনার পিছনে? তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, আরজি কর  মেডিক্যালে চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে তাদের কি মনে হয়েছে কখনও যে , এটা গণ ধর্ষণের ঘটনা? এরকম একাধিক প্রশ্ন করা হল  কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইকে। 
 
বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ আরও জিগ্যেস করেন, তদন্তের কোথাও গিয়ে কি সিবিআই-এর মনে হয়েছে, এটা একজনের কাজ নয় ? মনে হয়েছে যে এটা গণ ধর্ষণের ঘটনা? আর তেমনটা যদি মনে হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে সন্দেহভাজন কারা?  সিবিআইকে প্রশ্ন করেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। 

Continues below advertisement

সিবিআইকে আদালত প্রশ্ন করে, 'এই মুহূর্তে এই মামলায় আপনারা কী করছেন ?'। তারা কি মনে করছে, 'সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিই কি একমাত্র অভিযুক্ত , নাকি আর কেউ আছে?' সেই সঙ্গে বিচারপতি প্রশ্ন রেখেছেন, এটা কি শুধুমাত্র একটি গণধর্ষণের মামলা , নাকি এর সঙ্গে তথ্য প্রমাণ লোপাটের ঘটনাও জড়িত ? সিবিআইকে কেস 
ডায়েরি নিয়ে আসতে নির্দেশ দেন  বিচারপতি। 

বেশ কিছুদিন ধরেই নির্যাতিতার পরিবার সিবিআই তদন্ত নিয়ে তাঁদের অসন্তুষ্টির কথা জানিয়েছিল। হাইকোর্টের কাছে তাদের তরফে এদিন আর্জি জানানো হয়, যাতে পরবর্তী তদন্ত আদালতের নজরদারিতেই হয়।  পরিবারে তরফে আদালতের কাছে আবেদন রাখা হয়, যেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার আধিকারিকদের দিয়ে SIT গঠন করা করে তদন্ত হয়। তারা জানান, এই মামলার ক্ষেত্রে  গুরুত্বপূর্ণ অনেক ব্যক্তিকেই সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করেনি বলেন জানায় পরিবার। যেমন , জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি হাসপাতালে দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তারক্ষীদের। এছাড়া সেদিন অন-ডিউটি নার্সদের এখনও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। এছাড়া সেদিন যে অতিরিক্ত সুপার তাঁদের ফোন করে খবর দিয়েছিলেন, তাঁকেও এখনও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। পরিবারের তরফে আদালতে আবেদন জানানো হয়, যাতে সিবিআই তাদের তদন্তের স্টেটাস রিপোর্ট কোর্টে জমা করতে বলা হয়। 

এদিন রাজ্যের তরফেও  বেশ কয়েকটি প্রশ্ন করা হয়। যেমন , বিচার প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর কি পরবর্তী পর্যায়ের তদন্ত করা যায়? বিশেষ আদালত কি এর অনুমতি দিতে পারে ? হাইকোর্টে কেন,বিশেষ আদালতে আবেদন জানাচ্ছে না কেন পরিবার ? প্রশ্ন করা হয় রাজ্যের তরফে। এছাড়া সিবিআই তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলে রাজ্যের আইনজীবী বলেন, একবছর ধরে তদন্ত হচ্ছে, সিবিআই কী করছে ? গোটা দেশ জানতে চায়। 

হাইকোর্টে এই মামলার পরবর্তী শুনানি  আগামী ২৮ মার্চ ।

 

Continues below advertisement
Sponsored Links by Taboola