কলকাতা: এবার BJP-র ভূমিকায় প্রশ্ন তুললেন আর জি করের নির্যাতিতার মা-বাবা। BJP-র ভূমিকা ভাল লাগছে না বলে মন্তব্য করলেন তাঁরা। কলকাতায় এলেও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ যে দেখা করেননি তাঁদের সঙ্গে, তা তুলে ধরলেন। জানালেন, তাঁদের মেয়ে চলে গিয়েছে। এতে কারও কিছু যায় আসে না। (RG Kar Case)


কলকাতার আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার পর নয় নয় করে চার মাস পেরোতে চলেছে। এখনও সেই মামলার নিষ্পত্তি হয়নি আদালতে। সেই আবহে ফের সংবাদমাধ্যমে মুখ খুললেন নির্যাতিতার মা-বাবা। নির্যাতিতার বাবা বলেন, "সত্যি কথা বলতে কী, BJP-র ভূমিকা খুব একটা ভাল লাগছে না। প্রথম দিন থেকে ওরা বিষয়টি নিয়ে কী ভাবছে জানি না।" (Kolkata News)


নির্যাতিতার বাবা আরও বলেন, "অমিত শাহ কলকাতায় এলেন। আমরা ইমেল করেছিলাম। উনি আমাদের সঙ্গে দেখা করলেন না। ঘটনাটি নিয়ে আজ পর্যন্ত কেউ মুখও খোলেননি। কেন জানি না। বিষয়টা পুরো তাঁদেরই। দেখা করে ভাল করে বলতে চাই। অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করতে পারব মনে হয়েছিল। কিছু পাব না জানি। কিন্তু মনে তো প্রলেপ পড়ত? তাঁদের কিন্তু জবাব দিতে হয়েছে। কোনও আলোচনাই হচ্ছে না।"


নির্যাতিতার মা বলেন, "কেউ গুরুত্ব দিচ্ছেন না, কেউ না। ৮ তারিখে আমার মেয়েটা যে ডিউটিতে গেল, সে হারিয়ে গেল। আমাদেরই হারিয়ে গেল। কারও কিছু যায় আসে না।" আর জি কর কাণ্ডে বিচার চেয়ে কাল স্বাস্থ্যভবন অভিযান রয়েছে। সেখানে যোগ দেবেন নির্যাতিতার মা বাবা। কলকাতায় আসতে না পারলেও, সকলকে নিজ নিজ এলাকায় আন্দোলনে নামতে আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা।


নির্যাতিতার বাবার কথায়, "আন্দোলন যে ঝিমিয়ে গিয়েছে, সরকার পুরনো ফর্মে ফিরে গিয়েছে। অভীক-বিরূপাক্ষকে আবার কাউন্সিলে বসানোর চেষ্টা হচ্ছে। আন্দোলন থিতিয়ে গিয়েছে বলেই সরকার এই সাহস পাচ্ছে। এর বিরুদ্ধে আগামী কাল যে বিক্ষোভ-মিছিল হবে, আমরা যোগ দেব। স্বাস্থ্যভবন পর্যন্ত অভিযানে যাব। আমাদেরও আন্দোলন করতে হবে, বুঝে গিয়েছি। আন্দোলন না করলে বিচার পাব না আমরা।"


আর জি কর মামলা এই মুহূর্তে সুপ্রিম কোর্টে রয়েছে। ধর্ষণের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত একা সঞ্জয় রায়কেই চিহ্নিত করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সেই নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন নির্যাতিতার পরিবারের লোকজন থেকে আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা। সম্প্রতি বিধানসভায় গিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দেখাও করেন নির্যাতিতার মা-বাবা। কিন্তু ন্যায় বিচারের প্রশ্নে শুধুই হতাশা তাঁদের চোখেমুখে।