কলকাতা: "আমাদের প্রতিটি দাবি যে সত্যি তা সন্দীপ ঘোষের গ্রেফতারির ঘটনা প্রমাণ করল।" আরজি কর মেডিক্যাল ও হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানা ওসি অভিজিৎ মণ্ডল সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হওয়া খবর পেতেই এই দাবি করলেন আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা।
এপ্রসঙ্গে তাঁরা বলেন, "আমরা আজকে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে যে দাবিগুলো নিয়ে বৈঠক করতে গিয়েছিলাম। সেগুলি প্রতিটি যে সত্যি তা প্রমাণ হয়ে গেল। সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডল যে ওই দিন রাতে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রমাণ লোপাট করেছে তা পরিষ্কার হয়ে গেল। এই যে সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার ওসি এদের সুতো কোথায় বাঁধা? এই যে কলকাতা পুলিশের কমিশনার বিনীত গোয়েল, স্বাস্থ্য সচিব ও স্বাস্থ্য অধিকর্তা সহ বাকিদের পদত্যাগের দাবি আমরা করেছি তার প্রতিটা যে সত্যি তা ফের প্রমাণ হয়ে গেল। আজ ৩৫ দিন ধরে বিচারের জন্য আমরা রাস্তায় আছি। আরও ৩৫ দিন আমরা রাস্তায় থাকতে পারি। আজ ৩৫ ধরে আমরা আন্দোলন করছি। তারপরও অনেকে বলছেন আমাদের মধ্য স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে। আজও কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে তাই দাবি করা হয়। আমাদের সঙ্গে নাকি অনেক রাজনৈতিক নেতার যোগাযোগ আছে। আমরা আজ তার জবাব দিয়ে এসেছি। আমাদের প্রত্যেক বিরুদ্ধে কুৎসা ছড়ানোর চেষ্টা চলছে। অদভুত অদ্ভুত লোকেরা এসে কথা বলে যাচ্ছে। পাশ থেকে ছবি তোলার চেষ্টা হচ্ছে। অদ্ভুত অদ্ভুত লোকেরা দাঁড়িয়ে থাকছেন আমাদের একটা ভুল চালের জন্য। কিন্তু, আমরা যে ঠিক পথে আছি আজকে তা প্রমাণ হয়ে গেল। এই জায়গা থেকে আমরা পিছোতে কোনওদিন চাইনি। আমরা চাই আমাদের বোনের জন্য বিচার। তার জন্যই আমরা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। জয় আমরা ছিনিয়ে আনবোই। ততদিন অবধি আমাদের এই আন্দোলন চলবে। আমাদের ৩৫ দিনের যে যুদ্ধ তার একটা পুরস্কার আমরা পেলাম। আজকে যে মানুষটার বিরুদ্ধে পুরো বাংলা, পুরো ভারত দাঁড়িয়েছে সেই সন্দীপ ঘোষ আজ ধরা পড়েছে। আমরা বারবার করে বলেছিলাম, এই হচ্ছে সেই সন্দীপ ঘোষ যে সমস্ত থ্রেট কালচারের মাথায় রয়েছে। আজ সিবিআই আমরা কুর্নিশ জানাই। কারণ তারা দেখিয়ে দিল এই খুন ও ধর্ষণের ঘটনা সন্দীপ ঘোষও ছিল। ওদের জন্য আমাদের বোনের বিচারের দিকে আমরা একটা সদর্থক পদক্ষেপ নিতে পারলাম।"
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।