কলকাতা: আর জি কর কাণ্ডে কলকাতার পুলিশ কমিশনারের গ্রেফতারি দাবি করেছেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। কিন্তু দলের সাংসদের বক্তব্য়েরই তীব্র সমালোচনা করলেন কুণাল ঘোষ। X-পোস্টে পাল্টা তোপও দেগেছেন তিনি।


কী বলেছেন কুণাল?
কুণাল ঘোষ X পোস্টে লিখেছেন, 'আমিও আরজি কর কাণ্ডের বিচার চাই। কিন্তু সিপি-কে গ্রেফতারি দাবির তীব্র বিরোধিতা করছি। খবর পাওয়ার পর তিনি সাধ্যমতো চেষ্টা করেছেন। ব্যক্তিগত ভাবে সিপি সদর্থক তদন্ত করেছেন। আমার সিনিয়র নেতার থেকে এই ধরনের পোস্ট দুর্ভাগ্যজনক।' সুখেন্দুশেখরের বিরুদ্ধে সোশাল মিডিয়ায় সরব কুণাল ঘোষ। এদিকে সূত্রের খবর, ঘনিষ্ঠ মহলে সুখেন্দুশেখর রায় জানিয়েছেন তিনি নিজের বক্তব্যে অনড়।





কী বলেছিলেন সুখেন্দু শেখর?
তৃণমূলের প্রবীণ সাংসদ X পোস্টে দাবি করেছিলেন, আরজি করের ঘটনায় কলকাতা পুলিশ কমিশনারকেও যেন গ্রেফতার করে সিবিআই। তিনি লিখেছিলেন, 'সিপি, প্রাক্তন অধ্যক্ষকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করুক সিবিআই। কারা আত্মহত্যার কথা রটিয়েছিল, কেন ৩দিন পরে ঘটনাস্থলে স্নিফার ডগ? কেন দেওয়াল ভাঙা হল? এরকম শতাধিক প্রশ্ন আছে, ২জনকে গ্রেফতার করে জেরা করুক সিবিআই।' আর জি কর কাণ্ডে সোশাল মিডিয়ায় বিস্ফোরক পোস্ট তৃণমূল সাংসদের। কাদের প্রশ্রয়ে 'রায়' এত প্রভাবশালী? জানতে চান সুখেন্দুশেখর রায়। এর আগে মহিলাদের রাত-জাগা আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে রাতের জমায়েতে যোগ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়।


কুণাল ঘোষ বলেন, 'আমি ওর পোস্ট দেখেছি। আমি ওর দাবি দেখেছি, গ্রেফতার করে জেরা করা। আমি এই দাবির তীব্র বিরোধিতা করছি। ব্য়ক্তিগতভাবে নগরপালকে টার্গেট করে কী লাভ হচ্ছে? নগরপাল ব্য়ক্তিগত চেষ্টা করেছেন।'


সুখেন্দুশেখরের পোস্টকে হাতিয়ার করে তৃণমূলকে নিশানা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের। তিনি বলেন, 'তৃণমূল সাংসদই স্বীকার করে নিচ্ছেন আর জি কর কাণ্ডে সন্দীপ-বিনীত জড়িত। রাজ্য প্রশাসন রসাতলে গেছে। সরকারের অধঃপতন নিয়ে দলের লোকই প্রশ্ন তুলছে।' মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের ইস্তফা দাবি করে পোস্ট বিজেপির রাজ্য সভাপতির।


 



এর আগেও আরজি কর কাণ্ডের পরে তৃণমূলের অবস্থানের সঙ্গে দলের নেতাদের অবস্থানের পার্থক্য সামনে এসেছে। তৃণমূলের প্রাক্তন মুখপাত্র এবং প্রাক্তন সাংসদ শান্তনু সেনের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছে দলের। আরজি কাণ্ড নিয়ে তোপ দেগেছেন চিকিৎসক শান্তুনু সেন এবং তাঁর স্ত্রী চিকিৎসক কাকলি সেন। ওই সরকারি মেডিক্যাল কলেজের পড়াশোনা, প্রশাসন নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তোলেন তিনি। তারপরেই তাঁকে মুখপাত্র পদ থেকে এবং কলকাতা পুরসভায় স্বাস্থ্য বিষয়ক উপদেষ্টার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন: জল্পনাই সত্যি হল, বাতিল হল ইস্টবেঙ্গল বনাম মোহনবাগানের ডুরান্ড কাপ ডার্বি