নয়াদিল্লি : সোমবার সুপ্রিম কোর্টে ফের আর জি কর-মামলার শুনানি । মাঝে পেরিয়ে গিয়েছে ১ টা মাস। ৭ নভেম্বরের পরে আজ ফের শীর্ষ আদালতে উঠবে আরজি কর মামলা। চলতে বছরের ৮ অগাস্ট আরজি কর হাসপাতালে খুন হয়ে যায় তরুণী চিকিৎসক। তাঁকে নির্মম ভাবে ধর্ষণ ও হত্যা করা হয় তাঁরই কর্মক্ষেত্রে। তারপর থেকে বিচারের দাবিতে পথে নেমেছে চিকিৎসক থেকে সাধারণ নাগরিক সমাজ। ঘটনার ৪ মাস পার, ১০ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার ফের সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হবে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চে।
এরপর প্রধান বিচারপতির পদ থেকে অবসর নেন ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। আর জি কর মামলাটি শুরু থেকে তিনিই শুনছিলেন। সব পার্টিকে আশ্বস্ত করে তিনি জানান, আর জি কর মামলা সুপ্রিম কোর্টে চলবে নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতির তত্ত্বাবধানে । প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হবে।
আর জি কর কাণ্ডের তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে প্রথম থেকেই সিবিআই স্টেটাস রিপোর্ট জমা করে আসছে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে। গত নভেম্বরে তদন্তকারী সংস্থা৬ নম্বর রিপোর্ট জমা করে। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সেই রিপোর্টে দেখেন ও জানান, সিবিআই মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে চার্জশিট গঠন করেছে। এরপর শিয়ালদহের অতিরিক্ত দায়রা আদালতে থেকে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হয়। এরপরও সিবিআইয়ের তদন্ত চালিয়ে যাবে বলেছে। সে তদন্ত সংক্রান্ত রিপোর্ট মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার কাছে জমা করতে পারে তারা।
অন্যদিকে, আরজি কর কাণ্ডের ৪ মাস পার, এখনও অধরা বিচার - এই কথা বলে, বিচারের দাবিতে ফের পথে নামল জুনিয়র চিকিৎসকদের সংগঠন
ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্ট, সার্ভিস ডক্টর্স ফোরাম, মেডিক্য়াল সার্ভিস সেন্টারের তরফে আর জি কর হাসপাতাল চত্বরেই ডাক দেওয়া হয় প্রতিবাদ সভার। এদিন প্রতিবাদী জুনিয়র চিকিৎসক অনিকেত মাহাতো প্রশ্ন তোলেন, সঞ্জয় রাই কি একাই এই কাণ্ড ঘটিয়েছিল? তাহলে তার মোটিভ কী ছিল ? কেন তথ্যপ্রমাণ লোপাট করা হল? যদি এই কাজ একাধিক জন ঘটিয়ে থাকে, তাহলে তারা এখনও বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছে কেন।
চিকিৎসক আসফাকুল্লা নাইয়া প্রশ্ন তোলেন, জয়নগরের মতো ঘটনায় এত দ্রুত বিচার এল, আমাদের তা আশা দেখাচ্ছে। তাহলে আর জি কর কাণ্ডের ক্ষেত্রে সেটা হচ্ছে না কেন? কারণ ওখানে দোষীকে বাঁচানোর থ্রেট কালচার ছিল না, এতগুলো টাকা পয়সা নয় ছয় ছিল না !
অভয়া স্মারকের সামনে প্রদীপ ও মোমবাতি জ্বালানো হয়। বিচারের দাবিতে ওড়ানো হয় ফানুস। তারপর মোমবাতি হাতে মিছিল করে, মিনিট দশেক শ্য়ামবাজার মোড় অবরোধ করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এদিনই সাংবাদিক বৈঠক করে অভয়া স্কলারশিপের কথা ঘোষণা করে ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টর্স ফোরাম। আপাতত সবার নজর মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের শুনানির দিকে।