কলকাতা: আরজিকর কাণ্ডের প্রেক্ষিতে কলকাতায় এসেছে জাতীয় মহিলা কমিশন। এদিন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা বলেছেন 'আজ মুখ্যমন্ত্রী বলছেন সিবিআই তদন্তের জন্য। কিন্তু এই ঘটনার তদন্তে প্রথম দিনই সিবিআইকে দিয়ে দেওয়া উচিত ছিল। অনেক দেরি করে দিয়েছে। পুলিশ যেভাবে কাজ করছে পুরোপুরিভাবে চার্জশিটও করতে পারবে না। অপরাধীরাও বেঁচে যাবে।'


মূলত আর জি কর কাণ্ডের তদন্তে এবার পুলিশকে ডেডলাইন দিয়েছন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 'রবিবারের  মধ্যে মামলার কিনারা না করতে পারলে, সিবিআইকে দিয়ে দেব'। নিহত চিকিৎসকের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে জানিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'যেই জড়িত থাক, তাকে শাস্তি পেতে হবে। ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে আমরা ফাঁসির দাবি জানাব। ওখানে সিকিওরিটি ছিল, তাও কী করে এমন ঘটনা ঘটল ভেবে পাচ্ছি না। যে প্রথম পরিবারকে ফোন করেছিল, তাকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। যত দ্রুত সম্ভব রহস্যের কিনারা করতে হবে', জানান মুখ্যমন্ত্রী।


আরজি কর মেডিক্য়াল কলেজ হাসপাতালের সুপার সঞ্জয় বশিষ্ঠকে সরিয়ে দিল স্বাস্থ্য দফতর। সাসপেন্ড করা হয়েছে চেস্ট মেডিসিন বিভাগের চারতলার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ২ চুক্তিভিত্তিক রক্ষীকে। সন্ধেয় পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল জানান, আরজি কর মেডিক্য়াল কলেজ হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত অ্যাসিস্টান্ট কমিশনার চন্দন গুহকে সরিয়ে দেওয়া দেওয়া হয়েছে।


আরজি কর মেডিক্য়াল কলেজ হাসপাতালের সুপার সঞ্জয় বশিষ্ঠকে সরিয়ে দিল স্বাস্থ্য দফতর। সাসপেন্ড করা হয়েছে চেস্ট মেডিসিন বিভাগের চারতলার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ২ চুক্তিভিত্তিক রক্ষীকে। সন্ধেয় পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল জানান, আরজি কর মেডিক্য়াল কলেজ হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত অ্যাসিস্টান্ট কমিশনার চন্দন গুহকে সরিয়ে দেওয়া দেওয়া হয়েছে। মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় আন্দোলনে উত্তাল আরজি কর মেডিক্য়াল কলেজ  হাসপাতাল। হাতে হাতে প্ল্যাকার্ড, মুখে মুখে স্লোগান। বন্ধ জরুরি বিভাগ। মঞ্চ বেঁধে চলছে চিকিৎসকদের আন্দোলন।


আরও পড়ুন, আরজিকরে DC নর্থ, 'মহিলা চিকিৎসক খুনে আরও কেউ যুক্ত থাকতে পারে..'


এই প্রেক্ষাপটে রবিবার দুপুরে, আরজি কর মেডিক্য়াল কলেজ হাসপাতালের সুপার সঞ্জয় বশিষ্ঠকে সরিয়ে দিল স্বাস্থ্য দফতর। সাসপেন্ড করা হয়েছে চেস্ট মেডিসিন বিভাগের চারতলার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ২ চুক্তিভিত্তিক রক্ষীকে। কিন্তু, এই পদক্ষেপে সন্তুষ্ট নন আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের দাবি, ১২ ঘণ্টার মধ্যে অধ্যক্ষ, সুপার ও চেষ্ট মেডিসিন বিভাগের প্রধানের পাশাপাশি আরজি কর মেডিক্য়াল কলেজ হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিককে অপসারণ করতে হবে। প্রকাশ্যে আনতে হবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট।  পাশাপাশি, বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি জানাচ্ছেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা। 



আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।