কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের ব্যানারে ডাকা নবান্ন অভিযানকে অবৈধ, বেআইনি বলে আক্রমণ করেছে তৃণমূল। আর এবার পাল্টা তোপ দেগেছেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ। এদিন তিনি বলেন, 'নবান্ন অভিযানকে ঘিরে কাঁপছে সরকার।' 


এদিন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, এই নবান্ন অভিযানকে ঘিরে সরকার কিন্তু কাঁপছে। কেউ যদি কারও সঙ্গে দেখা করে..., আমি যদি কালকে  আপনার সঙ্গে দেখা করি, কিংবা আপনার সঙ্গে আমার দেখা হয়, তাহলে কি আপনি রাজনৈতিক হয়ে যাবেন ? স্পষ্ট প্রশ্ন সজলের। আমি যদি আপনার সঙ্গে কোনও আলোচনা করি, তাহলে কি আমার রাজনৈতিক মতাদর্শ পাল্টে যাবে ? এই কথা যারা এগুলি বলেন, তাঁরা যে কীকরে বলেন ? ! কিসের ভিত্তিতে বলে ? তাদের আদৌ বিবেক বুদ্ধি বিবেচনা আছে কিনা সেটাই আমার মনে হয়।


তিনি আরও বলেন, আসলে পুলিশ ভয় পাচ্ছে। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে কোনও বাধা দেওয়া চলবে না। যেভাবে রাত দখলে রাত দখলে লাখ লাখ মানুষ নেমে পড়েছিল, ঠিক সেই ভাবেই এখানেও মানুষ নামবে। আর তাই সিপিএমের একটা অংশ, পুলিশ এবং তৃণমূল মিলে বোঝাতে চাইছে, এটা এবিভিপি, এটা বিজেপি। আরে বিজেপি হোক, এবিভিপি হোক সমস্ত সাধারণ মানুষ, যাই রাজনৈতিক পরিচয় হোক না কেন, তাঁরা একসঙ্গে নামবে। মাথায় রাখবেন বাঙাল -ঘটি মিশে গেছে।' 


আরও পড়ুন, RG কর কাণ্ডের মধ্য়েই নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ মালদায়, 'মাদক মেশানো পানীয় খাইয়ে..'


মূত পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের ব্যানারে ডাকা নবান্ন অভিযানকে অবৈধ, বেআইনি বলে আক্রমণ করেছে তৃণমূল। কুণাল ঘোষের অভিযোগ,
সোশাল মিডিয়ায় লোক খেপিয়ে অরাজকতা তৈরির চেষ্টা চলছে।এই নবান্ন অভিযানের পিছনে রয়েছে বিজেপি, RSS, সিপিএম। ধানতলা, বানতলা, তাপসী মালিক ধর্ষণের ঘটনায় কি মুখ্যমন্ত্রী ইস্তফা দিয়েছিলেন? চক্রান্তকারীরা বলছে, রাজনীতি করার জন্য মৃতদেহ চাই। ভিডিও দেখিয়ে দাবি করেন কুণাল ঘোষ। কুণালের অভিযোগ, যারা বাংলায় প্রত্যাখ্যাত হয়েছে, তারা উস্কানি দিয়ে হিংসা করাতে চাইছে। বাইরের রাজ্য থেকেও বাংলায় নাশকতার জন্য লোক ঢোকানো হতে পারে। পুলিশের পোশাক পরে গুলি চালিয়ে সরকারকে বদনাম করার চেষ্টা। কাল পরীক্ষা রয়েছে, ছাত্র সমাজের নামে অরাজকতা তৈরির চেষ্টা হচ্ছে, দাবি তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে। 


 

বিস্তারিত আসছে...