সুদীপ্ত আচার্য, কলকাতা: মঙ্গলবার দুপুর থেকে শুরু করে বুধবার সকাল, তিনদিনে পড়ল স্বাস্থ্য ভবনের সামনে জুনিয়র চিকিৎসকদের ধর্না। সময় যত গড়াচ্ছে ততই তীব্র হচ্ছে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন। গতকাল আন্দোলনকারীদের শর্ত মানেনি রাজ্য সরকার। তাই অবস্থানে অনড় জুনিয়র চিকিৎসকরাও। এদিকে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের মিষ্টিমুখ করাতে হাজির বরানগরের বাসিন্দা। বললেন, জীবন্ত ভগবানদের মিষ্টি নিবেদন করতে এসেছি। এই ভাবেই আমাদের উৎসব শুরু। আন্দোলন যত তীব্র হচ্ছে, ততই আন্দোলনকারীদের সঙ্গে মিশে যাচ্ছে সাধারণের স্বর।
উলুর সঙ্গে ঢাকের বোল! গিটার বাজিয়ে গান, ‘জাস্টিস ফর আর জি কর’ স্লোগান, কখনও জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে কাটছে দিন থেকে রাত। মঙ্গলবারের পর বুধবার ফের রাতজাগা আরও একদিন। জটিলতা কাটবে কীভাবে? সরকার না আন্দোলনকারী, 'নরম' হবে কে? এই প্রশ্নই এখন জোরালো হচ্ছে। এর মধ্যেই গতকাল নবান্নে শিল্পপতিদের সঙ্গে মুখ্য়মন্ত্রীর বৈঠকের মাঝে জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনের প্রসঙ্গ ওঠে।
নবান্ন সূত্রে খবর, মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেন, জুনিয়র ডাক্তাররা কাজে যোগ না দিলে রাজ্য সরকার ব্যবস্থা নিতে পারে। জুনিয়র চিকিৎসকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন সিনিয়র চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন, 'একজনও জুনিয়র সাসপেন্ড হলেও আমরা ওপিডি ওয়ার্ক তুলে নেব', কড়া বার্তা সিনিয়র চিকিৎসকদের
জুনিয়র চিকিৎসকদের পাশে থাকার বার্তা নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা রাতে যোগ দিলেন আন্দোলনে। চোখে দেখতে পান না, কিন্তু শুনতে পান, বুঝতে পারেন কী চলছে চারপাশে, তাই যাদবপুর থেকে ৬ পড়ুয়া মিলে হাজির হলেন স্বাস্থ্য ভবনের সামনে জুনিয়র চিকিৎসকদের অবস্থানে।
প্রসঙ্গত, যে ছবি দেখা গিয়েছিল লালবাজার অভিযানের সময়, সেই ছবি ফিরল স্বাস্থ্যভবনের সামনে। আন্দোলনরত চিকিৎসকদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল সাধারণ মানুষ। কেউ নিয়ে এসেছেন জল, কেউ চা, কেউ এনেছেন শুকনো খাবার বা ফল। তাতেই জমেছে পাহাড়! এখন আর খাবার পাঠাবেন না, অনুরোধ করেছেন আন্দোলনকারীরা। বলছেন, কেউ চাইলে খেয়ে যেতে পারেন। ফিয়ার্স লেনের ছবি ফিরল স্বাস্থ্য ভবনের সামনে। সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সাড়ায় অন্য মাত্রা পেল চিকিৎসকদের রাতজাগা আন্দোলন।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে