ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: গত কালকের পর আজও র্যাগিংয়ের অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। দু-পক্ষের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছে আর জি কর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
আবার শিরোনামে আর জি কর! এবার আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে র্যাগিংয়ের অভিযোগ ঘিরে শোরগোল! যা নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের মানিকতলা হস্টেলে প্রথম বর্ষের পড়ুয়ারা থাকেন। দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়াদের জন্য নির্ধারিত হস্টেলে পরিকাঠামো না থাকায় এখনও দশ-বারো জন দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া প্রথম বর্ষের জন্য় নির্ধারিত মানিকতলা হস্টেলেই রয়েছেন। অভিযোগ, তাঁদেরই একাংশ প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের র্যাগিং করেছেন।
শুক্রবার, এ নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেছেন দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রদের আরেকটি অংশ। অভিযোগ, এরপরই অভিযুক্তরা অভিযোগকারীদের হুমকি দেয় এবং মারধর করে। এনিয়ে উল্টোডাঙা থানায় অভিযোগও করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সোমবারের পর মঙ্গলবারও র্যাগিংয়ের অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। । মঙ্গলবার, উপাধ্যক্ষ সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায়ের কাছে মালিকতলা হস্টেলে থাকা দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়াদের একাংশ লিখিত অভিযোগ ও ডেপুটেশন জমা দিল।
দু-পক্ষের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছে আর জি কর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ঠিক এক বছর আগে, আর জি কর মেডিক্য়াল কলেজ-সহ রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে থ্রেট কালচারের অভিযোগ সামনে এসেছিল। পথে নেমে প্রতিবাদ...অবস্থান-বিক্ষোভ করেছিলেন চিকিৎসক পড়ুয়াদের একাংশ। এবার ফের র্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠল আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।
অন্যদিকে, আর জি কর মামলা কলকাতা হাইকোর্টে ফেরত পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত ভাবেই মামলা গ্রহণ করেছিল দেশের শীর্ষ আদালত। সেই মামলাই এবার হাইকোর্টের ফেরত পাঠানো হয়েছে। বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ পালন হচ্ছে কি না, তার উপর নজরদারি চালাতে পারবে হাইকোর্ট। বিচারপতি এমএম সুন্দরেশ এবং বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মার বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছেন। কলকাতার আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত হয়েই মামলা গ্রহণ করা হয়েছিল। একাধিক বার সেই নিয়ে শুনানিও হয় সেখানে। এদিন সেই মামলাগুলিই হাইকোর্টে ফেরত পাঠানো হয়েছে।