কলকাতা: স্বাধীনতা দিবসের মধ্যরাতে আর জি কর হাসপাতালে বেলাগাম দুষ্কৃতী তাণ্ডবের ঘটনা নিয়ে শোরগোল রাজ্যজুড়েই। কারা দোষী, কারা করেছে তাণ্ডব নিয়ে শাসক-বিরোধী তরজা চলছে। যা গড়িয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতির এজলাসে। সেই ঘটনায় ধৃতের বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন দমদম পূর্ব সিঁথির বাসিন্দা সৌমিক দাস। 


আরজি কর-এ হামলা, ভাঙচুর চালানোর কথা স্বীকার করেছেন তিনি। সৌমিক দাস বলেন, 'আমি এমনই মিছিলে গিয়েছিলাম। কিন্তু ওখানে গিয়ে যখন সবাই ভাঙচুর করছে, আবেগপ্রবণ হয়ে আমিও ওখানে ভাঙচুরটা করেছি। কিন্তু ওটা আমার সত্যিই অপরাধ হয়েছে, ভুল হয়েছে। ওখানে কোনও প্ররোচনা ছিল না। আমি নিজের থেকেই গিয়েছিলাম। একটা ছেলে আমার হাতে ওই রডটা তুলে দিয়েছিল। ওটা দিয়েই ভেঙেছি। ভুল করেছি।  


ধৃতের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা, অস্ত্র আইন, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট, সরকারি কর্মীর কাজে বাধা- সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। 


প্রসঙ্গত, প্রাক স্বাধীনতার রাতে আচমকা ব্যারিকেড ভেঙে শয়ে শয়ে দুষ্কৃতী ঢুকে পড়ে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। পুলিশের সামনেই অবাধে চলে তাণ্ডব। জরুরি বিভাগ থেকে শুরু করে নার্সিং স্টেশন মেডিসিন স্টোর, HDU, ENT বিভাগ-সহ ১৮টি জায়গায় ভাঙচুর চলে।


আরও পড়ুন, 'চল সেমিনার রুমে চল', হামলাকারীদের কি টার্গেট ছিল সেমিনার রুমই? ভাইরাল ভিডিও



ঘটনার ২৪ঘণ্টারও অনেকটা সময় পর বৃহস্পতিবার গভীর রাতে থানায় অভিযোগ দায়ের করে আরজি কর কর্তৃপক্ষ।  সেদিনই ১০ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ঘটনার ফুটেজ থেকে বেশ কয়েকজনকে চিহ্নিত করে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয় কলকাতা পুলিশের তরফে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়। 


কিন্তু তাদের অনেকেরই দাবি, ঘটনার সঙ্গে তাঁরা জড়িতই নন।                       


একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানে বলতে শোনা যাচ্ছে, 'ভাঙ সব ভেঙে দে, মার। চল সেমিনার হলে চল।' এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই প্রশ্ন উঠছে তবে হামলাকারীদের কি টার্গেট ছিল সেমিনার রুম ? তাঁদের লক্ষ্য ছিল সেমিনার রুমের প্রমাণ নষ্ট করার? এমনই অভিযোগ উঠছে।      



আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে