কলকাতা : উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে অনশনরত চিকিৎসক আলোক ভার্মার শারীরিক অবস্থার অবনতি। আলোক ভার্মাকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। এইচডিইউ-তে রাখা হয়েছে আলোক ভার্মাকে। অনিকেতের মতো আলোকের ইউরিনে কিটন বডির মাত্রা বেড়ে গিয়েছে। এরই মধ্যে তাঁর লিভার এবং কিডনিতে সমস্যা দেখা দিয়েছে। রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা বেড়ে গেছে। জানা গিয়েছে, তাঁর হার্ট-রেটও অনিয়মিত।
আলোক ভার্মা পরিবারে হার্ট অ্যাটাকের ইতিহাস থাকার জন্য তাঁর সহযোদ্ধারা আর ঝুঁকি নিতে চাননি। আলোকের ইচ্ছে না থাকলেও, তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আলোক ভার্মার বাড়ি লখনউতে শনিবার তাঁর বাড়িতেই মাটিগাড়া থানার পুলিশ ফোন করেছিল বলে অভিযোগ। পুলিশ ফোন করে অনশন তুলতে চাপ দেয় বলে অভিযোগ।
কলকাতায় অনশন মঞ্চে যেমন ৮ জন অনশনরত, তেমনই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে অনশন করছেন দুই জুনিয়র ডাক্তার। তাঁদের কলকাতায় এসে একসঙ্গে অনশনে বসা অনুরোধ করেছিলেন কলকাতায় থাকা তাঁদের সহযোদ্ধারা। তবে তাঁরা উত্তবঙ্গেই তাঁদের প্রতিবাদ দেখাতে চেয়েছেন। কারণ, তাঁরা উত্তরবঙ্গের মামুষকে বার্তা দিতে চেয়েছেন যে, এ আন্দোলন সার্বিক , শুধু কলকাতা কেন্দ্রিক নয়। জানিয়েছেন, এক জুনিয়র চিকিৎসক। এরই মধ্যে অনশনকারীর বাড়িতে ফোন করে পরিবারের সদস্যদের চাপ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। তবে পিছপা হতে রাজি হননি আন্দোলনকারীরা। এই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে থ্রেট কালচারের অভিযোগ তুলেছেন সিনিয়র ডাক্তাররা।
আলোক ভার্মা জানিয়েছেন, 'পুলিশ বারবার ফোন করে পরিবারের উপর চাপ সৃষ্টি করছে। শরীর খারাপ হয়ে যাবে, এই কথা বলে আমাদের বোঝাতে বলছে। অথচ ওরা (পুলিশ) জানেই না কী পরিস্থিতি, এখানে এসে দেখেও যায়নি। থানা থেকে ফোন করে আমার মা'কে বলা হয়েছে, ছেলের শরীর খুব খারাপ, আপনি জানেন না। এসব করতে বারণ করুন। এভাবেই চাপ সৃষ্টি করছে।আমার বাড়ির লোক উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে।'
এরপর শনিবার আলোকের শরীর আরও খারাপ হওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অন্যদিকে কলকাতায় অনশনরতদের অবস্থাও খুব ভাল নয়। প্রত্যেকেরই রক্তচাপে গোলমাল হচ্ছে। ইউরিনের সঙ্গে বের হচ্ছে কিটোন বডি, যা ক্ষতিকর। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়েও তাঁরা পিছ পা হবেন না বলেই বারবার জানাচ্ছেন।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে