স্বাস্থ্য ভবনের সামনে ধর্নার ৯ দিন, গত ৪০ দিন ধরে আন্দোলনে করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সব দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। স্বাস্থ্য সচিবের অপসারণের দাবিতে এখনও অনড় জুনিয়র ডাক্তাররা। এই পরিস্থিতিতে জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে জানানো হয়েছে , চলবে তাঁদের কর্মবিরতি। কারণ, এখনও তাঁদের চতুর্থ ও পঞ্চম দাবি অনুসারে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা তৈরি হয়নি। কলেজে কলেজে থ্রেট কালচার এখনও অব্যাহত। তাই রাজ্যের সঙ্গে আরও একবার আলোচনা চেয়ে মুখ্যসচিবকে মেল করলেন আন্দোলনকারীরা। সেখানে স্পষ্টত জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি - 



  • চতুর্থ ও পঞ্চম দাবি এখনও পূরণ হয়নি। হাসপাতালে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে।

  • সরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলি থ্রেট কালচার বন্ধ করতে হবে।

    জুনিয়র ডাক্তারদের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ' আমরা আমাদের ৪ নম্বর দাবিতে আগেই বলেছিলাম,  রোগীস্বার্থ তথা স্বাস্থ্য পরিষেবা সুনিশ্চিত না করা গেলে শুধুমাত্র নিরাপত্তা বাড়িয়ে হাসপাতালগুলিতে  ডাক্তার-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করা সম্ভব নয়। সেই জায়গা থেকে  কেন্দ্রীয় রেফারাল ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করা, নার্স - স্বাস্থ্যকর্মী - জিডিএ নিয়োগ, চুক্তিভিত্তিক কর্মীনিয়োগ বন্ধ করে স্থায়ী কর্মী নিয়োগ , সমস্ত সিঙ্গল প্রিক ব্যবস্থা চালু করা, পেশেন্ট কাউন্সিলিংয়ের সময় প্রফেশনাল কাউন্সিলর নিয়োগ করা সহ একগুচ্ছ দাবি করেছিলাম।  '
     
    এই বিষয়গুলি নিয়েই এবার কথা বলতে চান তাঁরা। এছাড়া মুখ্যসচিবকে লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে, ' মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের শেষ বৈঠক প্রসঙ্গে, আমরা আবারও বলতে চাই, আমাদের পাঁচ দফা দাবিতে কিছু মূল বিষয় ছিল যা অমীমাংসিত রয়েছে। বিশেষ করে আমাদের চতুর্থ এবং পঞ্চম পয়েন্ট, স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার উন্নয়ন, নিরাপত্তা এবং কলেজে চলা থ্রেট কালচারের বিষয়ে। আলোচনায় আমরা এটা জেনে আশ্বস্ত হয়েছিলাম, এই সমস্যাগুলি সমাধানের জন্য আপনার সভাপতিত্বে একটি বিশেষ টাস্ক ফোর্স গঠন করা হবে । এটির প্রণয়ন এবং কার্যকারিতা নিয়ে আমাদের সঙ্গে আরও আলোচনা করা হবে। আমরা আজ এই বিষয়ে আপনার এবং টাস্ক ফোর্সের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে একটি বৈঠকে বসতে চাই। আমরা আপনার ইতিবাচক প্রতিক্রিয়ার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।' 

    এখন নবান্ন থেকে পড়ুয়াদের আবেদনে কী সাড়া মেলে , সেটাই দেখার।             

    আরও পড়ুন : 


    বৈঠকে জুনিয়র ডাক্তারদের মুখে রিজওয়ানুর কাণ্ড, তাতেই কি বিনীতকে সরালেন মমতা?