কলকাতা : কামদুনির নির্যাতিতার পরিবারের পাশে তাঁরা ছিলেন। RG Kar-এর ঘটনাতেও জাস্টিসের দাবি পথে তাঁরা। এদিন লালবাজার অভিযানে নামেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। আন্দোলনে শামিল হলেন কামদুনির ঘটনাতেও গর্জে ওঠা মৌসুমি কয়াল ও টুম্পা কয়ালরা। তুললেন জাস্টিসের আওয়াজ। আক্রমণ শানালেন বিনীত গোয়েলের বিরুদ্ধে।


মৌসুমী বলেন, "১১ বছর ধরে লড়ে আসছি। এই বিনীত গোয়েলই আমাদের কামদুনির কেসে তদন্তে ছিলেন। যখন নিম্ন আদালতে দোষীদের ফাঁসির সাজা হয়, এই বিনীত গোয়েলের জন্যই সমস্ত প্রমাণ লুঠপাট করে দেওয়া হয়েছিল। সরকারি উকিল আসামির হয়ে কাজ করেছিলেন। ফাঁসির অর্ডার হয়েছিল। ফাঁসির আসামিকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। তাই এই RG Karও ঠিক কামদুনির পথেই যাচ্ছে। আমরা চাই, জাস্টিস মিলুক। এর পিছনে যেসব বড় বড় মাথা আছে, তাদের টেনে বের করে রাজ্যের মানুষকে দেখানো হোক। এই রেপিস্ট কারা তৈরি করছে ? রাজ্যের প্রশাসন এই রেপিস্ট জন্ম দিচ্ছে। তাই, আমরা নারীরা রাস্তায় নেমেছি। প্রতিবাদ করছি। জাস্টিস চাইছি। Justice For RG Kar And Kamduni। "


এদিন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের অপসারণ, এই দাবির পাশাপাশি, আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের সাসপেনশন, চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণে জড়িত সবাইকে চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা ও হাসপাতালে ভয়ের রাজনীতি বন্ধের দাবিতে, এদিন লালবাজার অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।


ডাক্তারদের রুখতে লালবাজারের আগেই লোহার পাঁচিল তুলেছে পুলিশ। সেখানেই শিরদাঁড়ায় গোলাপ বেঁধে প্রতিবাদ শুরু করেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। গার্ডরেল থেকে কাঁদানে গ্যাসের শেল, লাঠি, প্রস্তুত রাখা হয়েছিল সবকিছু। সেখান থেকেই বলা হয়, ১০ মিনিটের মধ্যে ব্যারিকেড খুলে দিতে হবে, না হলে কমিশনারকে আসতে হবে। তা না হলে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু হবে।


আন্দোলনকারী এক জুনিয়র ডাক্তার  স্পষ্ট ভাষায় বললেন, "আজ কিছু লোক দেখতে পাচ্ছে যে, আমাদের সঙ্গে অন্যায় হচ্ছে। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কিছু লোকজন প্রমাণ লোপাটের সঙ্গে যুক্ত। তা সত্ত্বেও আমরা এমন একটা সিস্টেম তৈরি করে রেখেছি, যে সিস্টেম শুধুমাত্র ল আর ল, রুলস আর রুল...এর বাইরে বেরোতে পারছে না তারা। তারা চোখে দেখেও অন্ধ। তারজন্য তাদের শিরদাঁড়া নেই। শিরদাঁড়ার অভাব ঘটেছে বলে আমরা মনে করে দিতে চাইছি, যে মানুষের একটা শিরদাঁড়া আছে। যেটা সোজা রেখেও কাজ করা যায়। সেটা আইন মেনেও করা যায়। ওঁরা যে বলছেন, আইনভঙ্গ হবে, আইনের এত জটিলতা আছে...ইত্যাদি আছে...আমরা এত কিছু বুঝতে চাই না। একটা অপরাধ হয়েছে...জঘন্যতম অপরাধ। আমরা তার বিচার চাই। আর এই বিচার জীবিত অবস্থাতেই আমরা দেখে যেতে চাই। তারিখ পে তারিখ, তারিখ পে তারিখ...আমরা আর ওই জিনিসটা নিতে পারব না।"


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।