কলকাতা: ২৪ দিন পার, এখনও মেলেনি আর জি কর মেডিক্যালে চিকিৎসককে খুন-ধর্ষণের বিচার। এই প্রেক্ষাপটে এবার লালবাজার অভিযানে আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা। কলকাতার সিপি বিনীত গোয়েলের পদত্যাগ, সন্দীপ ঘোষের গ্রেফতারি সহ একাধিক দাবিতে অভিযান করেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। ডাক্তারদের রুখতে লালবাজারের আগেই লোহার পাঁচিল তুলল পুলিশ।
সেখানেই শিরদাঁড়ায় গোলাপ বেঁধে প্রতিবাদ শুরু করেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। গার্ডরেল থেকে কাঁদানে গ্যাসের শেল, লাঠি, প্রস্তুত রাখা হয়েছিল সবকিছু। সেখান থেকেই বলা হয়, ১০ মিনিটের মধ্যে ব্যারিকেড না খুলে দিতে হবে, না হলে কমিশনারকে আসতে হবে। তা না হলে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু হবে।
এদিন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের অপসারণ, এই দাবির পাশাপাশি, আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের সাসপেনশন, চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণে জড়িত সবাইকে চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা ও হাসপাতালে ভয়ের রাজনীতি বন্ধের দাবিতে, এদিন লালবাজার অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। প্রথমে কলেজ স্কোয়ারে জমায়েত হয়েছিলেন বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা।
পুলিশের লৌহকপাট ভেঙে নয়, বরং শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু যদি পুলিশ কমিশনার ইস্তফা না দেন, সেক্ষেত্রে আরও বড় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিতে পারে তাঁরা এমনটাই জানান হয়েছে। আন্দোলনকারীদের কথায়, 'হয়তো লালবাজার থেকে সিপিকে পদত্যাগ করতে হবে, না হলে আমাদের ওখানে মিছিল করে যেতে দিতে হবে। তাও না হলে সিপিকে এখানে এসে ডেপুটেশন জমা দিতে হবে।'
তবে এদিন পুলিশের সঙ্গে কোনও সংঘাতের পথে হাঁটেননি আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা। তবে যেখানেই বাধা পেয়েছে সেখানে রাস্তায় বসে পড়েছেন তাঁরা। এরপর পুলিশ কমিশনারকে ১০ মিনিট সময় দেওয়া হয়।
আর জি কর কাণ্ডের পর প্রথম থেকেই প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা। পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের একের পর এক বক্তব্যে দেখা দিয়েছে বিতর্ক। এদিন তাঁর পদত্যাগের দাবি তুলে লালবাজার অভিযানে গোলাপ হাতেও হাঁটতে দেখা গেল বহু চিকিৎসককে।