কলকাতা : আরজি করে মরদেহ নিয়ে দালালচক্রের মারাত্মক অভিযোগ উঠল ! প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের নির্দেশেই চলত মর্গে দালালচক্র ! চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুললেন হাসপাতালের ফরেন্সিক মেডিসিন বিভাগের প্রাক্তন হেড ক্লার্ক তারক চট্টোপাধ্যায়। 'ময়নাতদন্ত থেকে দেহ বাড়ি পৌঁছে দেওয়া, পুরোটাই চলত প্যাকেজ সিস্টেমে। দেহ প্রতি ঠিক করা ছিল অন্তত ১০ হাজার টাকার প্যাকেজ। দেহ ময়নাতদন্তের পর স্টিচ করতেও দিতে হত মোটা টাকা। টাকা না দিলে মৃতের আত্মীয়দের বলা হত স্টিচ করে নিতে। মর্গে দেহ রাখতেও নেওয়া হত হাজার হাজার টাকা।' বিস্ফোরক অভিযোগ আর জি কর মেডিক্যালের ফরেন্সিক বিভাগের প্রাক্তন হেড ক্লার্ক।
তাঁর অভিযোগ, "বহু অভিযোগ। যেমন- বডি আসছে... এমন বহু অভিযোগ শুনেছি, হয়তো পুলিশ নিয়ে আসছে, সেই পার্টিকে উনি প্যাকেজ করে নিতেন। পোস্ট মর্টেম করে দেব, কাঁচের গাড়িটা আমি করে দেব... এখান থেকে হয়তো দূরে কোথাও যাচ্ছেন... ভাড়া হয়তো ২ হাজার টাকা। উনি ড্রাইভারের সঙ্গে কথা বললেন ৫ হাজার টাকা। পার্টিকে বললেন...ড্রাইভারকে দিলেন ২ হাজার টাকা, উনি রাখলেন ৩ হাজার টাকা। এবার সেলাই করতে হবে, ওয়াশ করতে হবে...নানা রকমের বাহানা করে ন্যূনতম ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। প্যাকেজ। কাটা মৃতদেহ...যদি পার্টি না আসবে ...ভয় দেখিয়ে কাটা বডি দেখিয়েছেন। কাটা বডি দেখিয়ে বলতেন, প্রয়োজনে সেলাই করে নিতে হবে। ময়নাতদন্তের আগে...রোগীর পরিবারের ওরকম অবস্থা...তাঁরা এসে বলছেন শুধু একটু দেখব। তারজন্য টাকা নিতেন। খবর আছে আমার কাছে। তারজন্য ৫০০-১০০০, যার কাছে যেমন পান। না দিতে চাইলে তাঁকে সবার শেষে দেহ দেবেন। সে হয়তো প্রথমে এসেছে, কিন্তু সন্ধেবেলায় সবার শেষে তার বডি দেবে।"
তাঁর আরও অভিযোগ, "পিস হ্যাভেনে রাখতে গেলে টাকা লাগে। কিন্তু আমাদের তো পিস হ্যাভেনের দরকার নেই। কারণ, আমাদের এখানে সরকার এখনও পর্যন্ত যেটা মেইনটেন করে , আমি তো বলব সেরা মর্গ। পিসহ্যাভেন হার মেনে যাবে। আমাদের ৪৮ ঘণ্টা চেম্বার। পিস হ্যাভেনের মতো টাকা নিতেন। যে যেরকম পার্টি। ৫ হাজার, ৭ হাজার , ৮ হাজার, ৩ হাজার...যাকে যেরকম বধ করতে পারে। অথচ ওটা বিনামূল্যের পরিষেবা। এই টাকার ভাগ কোথায় যেত ? কে নিত এই টাকার ভাগ ? এই ধরনের যে অন্যায়গুলো করতেন, কে নিত ? ধরুন, কাটা বডি পড়ে আছে...সেদিন হয়তো ২টি ময়নাতদন্ত...পয়সা নেই..পায়নি...। ওই পার্টিকে বাধ্য করতেন ...কেউ যদি দিতে না পারতেন তাঁদের বাধ্য করতেন ...তাহলে তোমায় সেলাই করে নিতে হবে। তাঁরা ভয়ে টাকা দিতেন।"