ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: রাজ্যে জোরকদম এগোচ্ছে ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধন অর্থাৎ SIR-এর কাজ। এনুমারেশন ফর্ম নিয়ে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাচ্ছেন BLO-রা। বলে দিচ্ছেন, ভোটারদের কী করতে হবে। SIR আবহে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বার্থ সার্টিফিকেট নিতে লম্বা লাইন।
নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে বার্থ সার্টিফিকেট সংগ্রহ করে রাখতে চাইছেন সবাই। কোনও শিশুর বেশ কয়েক বছর আগে জন্ম হলেও, তাদের অভিভাবকরা এখন বার্থ সার্টিফিকেট নিতে চাইছেন। তবে অনেকে OTP না পাওয়ারও অভিযোগ জানাচ্ছেন।
মেডিক্যাল কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বার্থ সার্টিফিকেট এখন অনলাইনে দেওয়া হয়। শিশুর অভিভাবকরা রেজিস্টার করার পর তাঁদের ফোন নম্বরে OTP যায়। কেন সেটা অনেকে পাচ্ছেন না, সেটি IT বিভাগকে জানানো হয়েছে। তবে ১০ বছরের বেশি বয়সিদের জন্য বার্থ সার্টিফিকেট হাসপাতাল থেকে দেওয়া হয় না বলেও জানিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম না থাকলে, অন্যতম প্রমাণপত্র হিসেবে দেখাতে হবে বার্থ সার্টিফিকেট। আর SIR শুরু হতেই জাল বার্থ সার্টিফিকেট নিয়ে রাজ্যে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে অভিযোগ জানিয়ে এসেছেন শুভেন্দু অধিকারীরা।
সম্প্রতি শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'CEO মনোজ আগরওয়ালের সঙ্গে দেখা করলাম। এই ধরনের ভুয়ো জন্ম শংসাপত্র বানিয়ে, এটা পুরো ভুয়ো। আই প্যাকের লোকেরা এসব ভুয়ো জন্ম শংসাপত্র বানিয়ে দিচ্ছে। এটা নিয়ে গিয়ে BMOH-দের কাছ থেকে ডিজিটাল সার্টিফিকেট করিয়ে নিচ্ছে। আমরা এটাও CEO অফিসে একটা কপি দিয়েছি।'
জেলার পাশাপাশি কলকাতাতেও জাল সার্টিফিকেটের রমরমা কারবার চলছে বলে, CEO-কে অভিযোগ জানিয়েছে বিজেপির প্রতিনিধি দল। এ প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, 'কলকাতা কর্পোরেশন-সহ বিভিন্ন জায়গায় যে জাল বার্থ সার্টিফিকেট দেওয়ার লাইন এবং হুড়োহুড়ি চলছে এটা অশ্বডিম্বে পরিণত হবে। তাঁরা আমাদের বলেছেন যে ফর্মগুলো রিটার্ন হতে দিন। আপনারা এখন সহযোগিতা করুন।'
উল্লেখ্য, ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় যাঁদের নিজেদের বা মা-বাবার নাম নেই, তাঁদের নথি দিয়ে নাম তুলতে হবে। সে ক্ষেত্রে পরিচয়ের প্রমাণপত্র হিসেবে ১১টি নথি নির্দিষ্ট করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে যে কোনও একটি দেখাতে হবে। সেই তালিকায় রয়েছে বার্থ সার্টিফিকেটও।