কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডে তোলপাড় গোটা রাজ্য (RG Kar News)। মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি। লাগাতার প্রতিবাদ ও কর্মবিরতিতে জুনিয়র চিকিৎসকেরা (Junior Doctors)। তাঁদের দাবি নির্যাতিতার বিচার ও কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা চাই। তাঁদের এই আন্দোলনে পাশে দাঁড়িয়েছেন সাধারণ মানুষ ও সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষেরা। কখনও স্কুলের ছাত্র ছাত্রীরা, কখনও আইনজীবীরা, কখনও চিত্রশিল্পীরা, কখনও নেহাতই সাধারণ মানুষ। রোদ, ঝড়, জল কিছুরই তোয়াক্কা না করে বারবার পথে নামছেন প্রত্যেকে, প্রতিদিন। আজ রবিবার, বৃষ্টিভেজা দিনেও পথে নেমেছেন প্রতিবাদীরা। (Protest Rallys)
বৃষ্টিভেজা রবিবারেও শহরের রাস্তায় উঠল স্বর, 'জাস্টিস ফর আরজি কর'
সূর্যের প্রখর তাপ হোক বা ঝমঝমিয়ে বৃষ্টির দুর্যোগের রাত। প্রতিবাদের স্বরে এক মুহূর্তের জন্যও ভাটা পড়েনি। আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসক থেকে সাধারণ মানুষ, সকলের মুখেই এখন একটাই দাবি, বিচার চাই। স্বাস্থ্য ভবনের সামনে জুনিয়র ডাক্তারদের অবস্থান-বিক্ষোভের ষষ্ঠ দিনে ৫ দফা দাবি নিয়ে ফের পথে নামছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। সল্টলেক সেন্ট্রাল পার্ক থেকে স্বাস্থ্য ভবন পর্যন্ত মহামিছিলের ডাক দিয়েছেন তাঁরা। জুনিয়র চিকিৎসকদের এই মিছিলে পা মেলাবেন সিনিয়র চিকিৎসকরাও। আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে পথে এবার নার্সদের মিছিল। সল্টলেকের করুণাময়ী থেকে স্বাস্থ্য ভবন পর্যন্ত মিছিলে সামিল স্বাস্থ্যব্যবস্থার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ যাঁরা, সেই নার্সেরা। অন্যদিকে আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে পথে কলকাতার নামী স্কুল, ক্যালকাটা গার্লসের প্রাক্তনীরা। বিচার চেয়ে ওয়েলিংটনে মিছিল করেন তাঁরা। অন্যদিকে ধর্মতলা থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত মিছিলে সামিল হলেন শহরের বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের প্রাক্তনীরা। এই নৃশংস ঘটনার প্রতিবাদে বিচার চেয়ে উল্টোডাঙায় নাগরিক মিছিলে সামিল অজস্র মানুষ। কোথাও নেই বয়সের বাধা। বৃদ্ধ বৃদ্ধা থেকে যুবক যুবতী থেকে শিশুরাও মিছিলে সামিল। কোথাও রেনকোট পরে, কোথাও ছাতা মাথায় বা কোথাও এমনিই, পথে নেমে প্রতিবাদে সাধারণ মানুষ। বেশিরভাগের পরনে কালো পোশাক, কারও রয়েছে মুখোশ! হাতে হাত ধরে, হেঁটে চলেছেন তাঁরা, ভয় মুক্ত সমাজের দাবিতে, নিরাপদ পরিবেশের দাবিতে, জঘন্য এক হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে।
আরও পড়ুন: Metro Services: কমছে মেট্রোর সংখ্যা! বিশ্বকর্মা পুজোর দিন পরিষেবায় বদল!
অন্যদিকে আর জি কর কাণ্ডে চলছে তদন্ত। এর নেপথ্যে রয়েছে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র? আদালতে এমনই বিস্ফোরক দাবি করল সিবিআই। ধর্ষণ ও খুনের মামলায় সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার ওসি ৩ দিনের সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন। 'ঘটনার দিন সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে কথা হয়েছিল ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের। সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডলের মধ্যে যোগসূত্র থাকতে পারে। বৃহত্তর ষড়যন্ত্র থাকতে পারে', আদালতে সওয়াল সিবিআইয়ের। 'অভিজিৎ মণ্ডল ঘটনার দিন সকাল ১০টায় খবর পেলেও কেন এত দেরিতে এফআইআর? তথ্য প্রমাণ লোপাট হয়েছে বলে আমাদের গভীর আশঙ্কা এত ঘণ্টা পরও কেন এফআইআর দায়ের হল না? এটা গাফিলতির অন্যতম উদাহরণ। আদালতগ্রাহ্য অপরাধের ক্ষেত্রে অনেক আগে এফআইআর দায়ের করা উচিত ছিল। টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডল ষড়যন্ত্রের অংশীদার বলে সন্দেহ। ওই কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বহু গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ লোপাট হয়েছে। কোনও পদ্ধতি মানা হয়নি', আদালতে দাবি সিবিআইয়ের।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।