সৌমিত্র রায়, কলকাতা: হার না মানা লড়াই। ধর্মতলায় আমরণ অনশন চলাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়েন অনিকেত মাহাতো। ভর্তি রয়েছেন আর জি কর মেডিক্যালের সিসিইউতে। অনিকেত মাহাতোকে দেখতে এলেন অনিকেতের বাবা।


ছেলেকে হাসপাতালে দেখে এসে অনিকেতের বাবা বলেন, 'চিন্তা হওয়াটাই স্বাভাবিক। ওটা তো থাকবেই। চিকিৎসকরা জানিয়েছে বিপদ কেটে গিয়েছে। ছেলে কথাও বলেছে আমার সঙ্গে। অনেকটা ভাল আছে জানান হল। ওঁর এই আন্দোলনকে পূর্ণ সমর্থন করি। বাবা-মা হিসেবে এটাই চাই যে, আর কোনও দ্বিতীয় অভয়া যেন না হয়। ও সুস্থ হয়ে উঠুক। 


ধর্মতলায় জুনিয়র ডাক্তারদের আমরণ অনশনের আজ সপ্তম দিন। গতকাল থেকে আরও দুই জুনিয়র ডাক্তার অনশনে যোগ দিয়েছেন। গত শনিবার থেকে আমরণ অনশন চালিয়ে যাওয়া জুনিয়র ডাক্তারদের শারীরিক অবস্থা উদ্বেগজনক। 


লাগাতার অনশনের জেরে ইতিমধ্যেই অসুস্থ হয়ে আর জি কর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন অনিকেত মাহাতো। তাঁর শারীরিক অবস্থার সামান্য উন্নতি হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। শারীরিক অবস্থা খারাপ হলেও ১০ দফা দাবি আদায়ে আমরণ অনশনে অনড় আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা। আজ ধর্মতলায় জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন মঞ্চে আসার কথা সর্বভারতীয় চিকিৎসক সংগঠনের প্রতিনিধিদের।   


চিকিৎসক দীপ্তেন্দ্র সরকার বলেন, 'অনেকক্ষণ অনশনে থাকলে লিভারে সুগার কমে যায়। মাসল ব্রেক ডাউন হয়। মাসল ব্রেক ডাউন হলে ইউরিনে আসতে শুরু করে। জল কমে যাওয়ায় সল্ট ও ইলেকট্রোলাইট ইমব্যালেন্স হয়।' টানা অনশনে জুনিয়র ডাক্তার অনিকেত মাহাতোর শারীরিক অবস্থার যে অবনতি হচ্ছে, সেকথা জানিয়েছিলেন আর জি কর মেডিক্যালের চিকিৎসক সৈকত নিয়োগী।


এদিকে, বৃহস্পতিবার সকালেই অনশনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের চিঠি পাঠায় হেয়ার স্ট্রিট থানা। বৃহস্পতিবার, অনশনমঞ্চে এসে কথাও বলেন হেয়ার স্ট্রিট থানার অফিসাররা।  এবার চরম পদক্ষেপের কড়া বার্তা দিয়েছে আইএমএ বেঙ্গল শাখা। সংগঠনের তরফে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে লেখা হয়েছে, জুনিয়র ডাক্তারদের আমরণ অনশন চলছে। অনশনরত চিকিৎসকরা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। সমগ্র চিকিৎসক সমাজকে চিন্তিত ও আশঙ্কিত করে তুলেছে। প্রশাসন বাড়তি উদ্যোগ নিয়ে দ্রুত সমাধানে সচেষ্ট হোন। না হলে চরম পদক্ষেপ নেওয়া ছাড়া চিকিৎসক সমাজের আর কোনও উপায় অবশিষ্ট থাকবে না। 


 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে