ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: বিচারের দাবি আজ শহরের রাস্তায় জনগর্জন (RG Kar Protest)। বৃষ্টিভেজা রবিবারে দিকে দিকে পথে নেমেছেন সমাজের নানা স্তরের মানুষ। এই আবহে আজ স্বাস্থ্যভবনের সামনে চিকিৎসকদের ধর্নামঞ্চে পৌঁছে যান আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার, আখতার আলি (Akhtar Ali)। মুখোমুখি হলেন এবিপি আনন্দের (ABP Ananda)। 


চিকিৎসকদের ধর্নামঞ্চে আরজি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি


রবিবার দিকে দিকে প্রতিবাদ মিছিল। সল্টলেক, করুণাময়ী থেকে শ্যামবাজার, গড়িয়া, ধর্মতলা থেকে যাদবপুর, সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার, উল্টোডাঙা। পথে নেমেছেন অগণিত মানুষ। এরই মাঝে চিকিৎসকদের ধর্নামঞ্চে হাজির হলেন আরজি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি। 


প্রতিবাদে সামিল হয়ে আখতার আলির বক্তব্য, 'আমি যত ছাত্রছাত্রী, জুনিয়র ডাক্তার এবং জনগণ, সকলকে কুর্নিশ জানাব। কারণ ৩৫ দিন ধরে বিচারের জন্য সকলে লড়াই করে চলেছেন। আমি দুঃখিত যে যখন আমি আওয়াজ তুলেছিলাম, তখনই যদি ব্যবস্থা হত তাহলে আমাদের হয়তো এই দিনটা দেখতে হত না।'


আখতার আলি যে অন্যায়গুলির কথা বলেছিলেন, সেগুলি তুলে এখন সিবিআই তদন্ত হচ্ছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও কেন 'দুঃখিত' তিনি? আখতার আলির কথায়, 'অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। আমরা একটা প্রাণ হারিয়ে ফেলেছি। সে কি আমার ওই বোনকে ফেরত দিয়ে দেবে? তখন ব্যবস্থা হল না কেন? ২০২০ সালে উনি যখন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে এমএসভিপি ছিলেন, ওঁর বিরুদ্ধে ভুরিভুরি অভিযোগ ছিল। ওঁর বিরুদ্ধে ডিপার্টমেন্টাল এনকোয়্যারি হয়েছিল। যাঁরা তদন্ত করেছিলেন, আমার জবাব চাই, তাঁরা ওঁকে কীকরে ক্লিনচিট দিলেন? তারপর উনি বসলেন, আরজি করের মতো মর্যাদাপূর্ণ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষের চেয়ারে। সেখানে বসে যে দুর্নীতিগুলো করলেন, এই চক্রান্তগুলো করলেন, তারপর তথ্যপ্রমাণ লোপাট করলেন... এর শাস্তি কি একটা প্রাণের বিনিময়েই পেতে হত? আগে ব্যবস্থা হল না কেন?'


 



আরও পড়ুন: RG Kar Protest: 'জুনিয়র চিকিৎসকদের দেখে মনে হল বাঙালির শিরদাঁড়া শক্ত আছে', পথে নামলেন অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্তারা


তিনি আরও বলেন, 'কাল দু'জন গ্রেফতার হয়েছেন। কিন্তু আমরা সকলে মিলে লড়ছি দ্রুত বিচারের আশায়। আর ধৈর্য্য থাকছে না।' আখতার আলি যখন প্রথম সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন তখন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, এখন আরজি কর কাণ্ডের তদন্ত করছে সিবিআই। এখন কি প্রশাসনের প্রতি কোনও বক্তব্য আছে তাঁর? আখতার আলির কথায়, 'আমি এখন সবকিছু ভুলে গিয়েছি। আমার তিলোত্তমার বিচার আগে চাই। আমি এখন নিজেকে ভুলে গিয়েছি, সকলকে ভুলে গিয়েছি। এই মুহূর্তে নির্যাতিতার মৃত্যুর বিচার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।' কিন্তু এই মৃত্যুর জন্য কে দায়ী বলে মনে করেন তিনি? আখতার আলির বক্তব্য, 'এখন সিবিআই তদন্ত করছে। গ্রেফতার করা হয়েছে। আমরা সকলেই ইতিবাচক কিছুর আশায় আছি। ১৭ তারিখ পরবর্তী শুনানি। আমরা সকলেই আশায় আছি। বিচারের আশায় আছি। মানুষ জেগেছেন। বাংলার মাটিতে আর একজন ছাত্র বা ছাত্রীর সঙ্গে অবিচার আমরা হতে দেব না। তাতে চাকরি থাকুক না থাকুক, আমি পরোয়া করি না। আমার ছোট ভাইবোনেরা লড়ছে, রাতদিন লড়ছে, আমি ওদের পাশে আছি, ওদের পাশে থাকব।'


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।