কলকাতা : স্বাস্থ্য ভবনের সামনে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের চতুর্থ দিন (Junior Doctors Protest)। গতকাল নবান্নের বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার পরে আরও বেড়েছে আন্দোলনের ঝাঁঝ। রাতভর গানে, স্লোগানে মুখরিত ছিল স্বাস্থ্য ভবন সংলগ্ন এলাকা। প্রতিবাদী স্লোগানের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের মুখে শোনা যায় ছোটদের বিভিন্ন ছড়া, কবিতাও। সেই সব ছড়া থেকেই নতুন স্লোগান তৈরি করেছেন তাঁরা। আন্দোলকারীদের সঙ্গে যোগ দিচ্ছেন বহু সাধারণ মানুষ। গতকাল রাতের পরে আজ সকালেও আন্দোলনকারীদের সমর্থনে এসেছেন প্রচুর সাধারণ মানুষ। চা, বিস্কুট ও নানান ধরনের খাবার সঙ্গে নিয়ে এসেছেন তাঁরা। অনেকেই খাবারের আয়োজন করছেন জুনিয়র ডাক্তারদের জন্য। এই আবহে চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ (TMC Leader Kunal Ghosh)।
তাঁর দাবি, 'খাবারের সঙ্গে কে কী দেবে তার দায় কে নেবে। ওখানে এক একটা রাজনৈতিক দলের কেউ কেউ গিয়ে নানারকমের জিনিস দিচ্ছেন। কে সেগুলোর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে ? যা হবে তো এখন সরকারের দায়। ফেসবুক আছে., ট্যুইটার আছে...যা হবে আগে সরকারের দায়। ফলে, চূড়ান্ত সতর্কতার ব্যবস্থা হোক। বহিরাগতদের হাত থেকে, বহিরাগতদের দিয়ে, বহিরাগতদের প্রবেশ...গোটা এলাকাটায় বন্ধ করে দেওয়া হোক।'
তাঁর সংযোজন, "জুনিয়র ডাক্তারদের যে মূল বিষয়, তাঁদের সহযোদ্ধা-সহকর্মী ধর্ষণ এবং খুন, ন্যায়বিচারের দাবিতে আমরাও আছি। কিন্তু, এই আন্দোলনটাকে যেদিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, যাঁরা প্রভাব বিস্তার করছেন এবং কিছু জুনিয়র ডাক্তারকে সামনে রেখে যাঁরা অন্য খেলা খেলার কথা ভাবছেন, এমনকী জুনিয়র ডাক্তারদের বলি দেওয়ার কথা ভাবছে...আজ যদি কোনও সময় হামলা হয়, সবাই ভাববে কাল বৈঠক সফল হয়নি বলে শাসকদল বা তৃণমূল কংগ্রেস এসবে থাকছে। এটা তো আগে ছড়িয়ে পড়বে চারপাশে। একটা পাবলিক পারসেপশন তৈরি করিয়ে দেওয়া হবে। আমরা পুলিশ প্রশাসনকে অনুরোধ করব, ওই এলাকায় কোনও বহিরাগত যেন ঢুকতে না পারেন। ইতিমধ্যেই দেখছি একের পর এক বহিরাগত, বিভিন্ন দলের লোকেরা, বিজেপি-আরএসএসের লোকজন, বিজেপির যুবর জেলা সভাপতি সদলবলে ওই ভিডের মধ্যে গিয়ে বসে আছেন, নকশালপন্থী নেতা সেখানে গিয়ে বসে আছেন। এরমধ্যে ভয়ঙ্কর বিষয়টা আমাদের সামনে চলে এসেছে।"
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।