সনৎ ঝা, কলকাতা : আরজি কর, কলকাতা মেডিক্যালের পর এবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালেও গণ-ইস্তফা । জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে গণ-ইস্তফা দিলেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের সিনিয়র চিকিৎসকরা। এখনও পর্যন্ত এখানকার ১৫ জন চিকিৎসক ইস্তফা দিয়েছেন। সংখ্যাটা আরও বাড়বে। অনেকে বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টে রয়েছেন। তাঁরা আসছেন। অনশনস্থলে এসে সই করছেন। তাই, সংখ্যাটা সারাদিনে আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। এখানে ৭২ ঘণ্টা অনশন হল এবং গতকাল থেকে সিনিয়র চিকিৎসকরাও প্রতীকী অনশনে বসছেন। অনশন নিয়ে সরকারি উদাসীনতা বিরক্তি বাড়াচ্ছে সিনিয়র চিকিৎসকদের। এখনও পর্যন্ত সরকারি প্রতিক্রিয়া না আসায় গণইস্তফার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা।


আর জি কর-কাণ্ডে ন্যায়বিচার-সহ ১০ দফা দাবিতে ধর্মতলায় আমরণ অনশনে জুনিয়র ডাক্তাররা। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজেও জুনিয়র চিকিৎসকরা রিলে অনশন শুরু করেছেন। গত রবিবার থেকে ১৭ জন প্রতীকী অনশনে বসেন। পাশাপাশি, হাসপাতালেও চিকিৎসা পরিষেবা স্বাভাবিক রেখেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। 


আর জি কর-কাণ্ডের আবহে রাজ্য সরকারকে ২৪ ঘণ্টার ডেডলাইন। সাড়া না মেলায় আরজি কর মেডিক্যালের পথে গণ ইস্তফার পথে হাঁটেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক-অধ্যাপকরা। জুনিয়র চিকিৎসকদের আমরণ অনশনের পাশে দাঁড়িয়ে গতকাল গণ ইস্তফা দেন আর জি কর মেডিক্যালের সিনিয়র চিকিৎসকরা। সেই ধাঁচেই গণ ইস্তফা কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। 


রাজ্য় সরকারের ওপর আরও চাপ বাড়িয়েছেন চিকিৎসকরা। জুনিয়র ডাক্তারদের আমরণ অনশনের পাশে দাঁড়িয়ে এবার গণইস্তফার পথে হাঁটতে শুরু করেছেন সিনিয়র ডাক্তাররা। 


১০ দফা দাবি সামনে রেখে শনিবার থেকে ধর্মতলায় আমরণ অনশনে বসেন জুনিয়র ডাক্তাররা। রাজ্য় সরকার এখনও সাড়া না দেওয়ায়, এবার অনশনরত জুনিয়রদের পাশে দাঁড়িয়ে গণ ইস্তফা দেন আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রায় ৫০ জন চিকিৎসক-অধ্যাপক। রাজ্য় সরকারকে কার্যত ২৪ ঘণ্টার ডেডলাইন দিয়ে গণইস্তফার হুঁশিয়ারি দেন মেডিক্য়াল কলেজ এবং SSKM-এর চিকিৎসকরাও।


গণইস্তফা প্রসঙ্গে নবান্নের এক শীর্ষকর্তা জানিয়েছেন, গণইস্তফা দিলে পদত্যাগ করা হয় না। আলাদা আলাদাভাবে নির্দিষ্ট জায়গায় ইস্তফা দিতে হয়। ইস্তফা যতক্ষণ না পর্যন্ত সরকার গ্রহণ করছে ততক্ষণ তাঁদের কাজ চালিয়ে যেতে হবে। যদি ইস্তফা গৃহীত হয়, তাহলে তাঁরা সরকারি সুযোগসুবিধা পাবেন না এবং ভবিষ্যতে আর সরকারি চাকরিও পাবেন না। 


গণ ইস্তফার পাশাপাশি এদিন জুনিয়রদের আন্দোলনের পাশে দাঁড়াতে প্রতীকী অনশনে বসেন সিনিয়ররা ডাক্তাররা। 


কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও চিত্তরঞ্জন মেডিক্যাল কলেজেও ১২ ঘণ্টার প্রতীকী অনশন পালন করেন জুনিয়র ডাক্তাররা।