RG Kar News: এবার কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরাও। অ্যাপোলো হাসপাতালে কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চিকিৎসকদের একাংশ। ইতিমধ্যেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ২৩ জন চিকিৎসক চিঠি পাঠিয়েছেন। সোমবার থেকে জরুরি বিভাগ ছাড়া অন্যান্য বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অ্যাপোলো হাসপাতালের চিকিৎসকদের একাংশ। কর্মবরতির হুঁশিয়ারি দিয়ে যে চিঠি অ্যাপোলো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে পাঠানো হয়েছে সেই চিঠিতে সই করেছেন চিকিৎসক জয়রঞ্জন রাম। 


ডক্টর রাম বলেছেন, 'আজ আমাদের একটা মিছিল ছিল। প্রায় দু'মাস হল। সরকারের তরফে কোনও হেলদোল নেই। আমাদের ভাইবোনেরা, সহকর্মীরা আমরণ অনশন করছেন। সরকারের তরফে বিন্দুমাত্র কোনও উদ্বেগ প্রকাশ হচ্ছে না। আমরা বাধ্য হয়ে আজ ঠিক করলাম ওদের সঙ্গে হাত মেলাতে সোমবার থেকে আমরা অ্যাপোলোর যাঁরা কনসালট্যান্ট রয়েছি তাঁরা এমার্জেন্সি ছাড়া বাকি সব পরিষেবা প্রত্যাহার করব। পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য বেসরকারি হাসপাতালের ডাক্তারদেরও আমাদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাবো। আমাদের সবাইকে বার্তা দিতে হবে যে আমরা সবসময় জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে রয়েছি।'  


ধর্মতলার ধর্নামঞ্চে অনশন করছেন ৭ জন জুনিয়র ডাক্তার। বিগত চারদিন ধরে অনশনে রয়েছেন তাঁরা। এখনও কেন নির্লিপ্ত সরকার? প্রশ্ন তুলে ডাক্তারদের 'গণ-ইস্তফা' চলছে রাজ্যজুড়ে। উত্তর থেকে দক্ষিণ, রাজ্য জুড়ে ২৫০-র বেশি সিনিয়র ডাক্তার পদত্যাগ করেছেন ইতিমধ্যেই। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ১০৬জন চিকিৎসক ইস্তফা দিয়েছেন। কলকাতা মেডিক্যাল পদত্যাগ করেছেন ৭০জন সিনিয়র চিকিৎসক। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে ৩৫জন সিনিয়র ডাক্তারের ইস্তফা পাওয়া গিয়েছে। তালিকায় রয়েছে আরও অনেক সরকারি মেডিক্যাল কলেজ। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে ৫০জন সিনিয়র ডাক্তার পদত্যাগ করেছেন। জলপাইগুড়ি মেডিক্যালে ১৯জন সিনিয়র ডাক্তার ইস্তফা দিয়েছে। এর পাশাপাশি সাগর দত্ত মেডিক্যালে গণইস্তফার হুঁশিয়ারি দিয়ে ৩০ চিকিৎসকের ডেডলাইন দিয়েছেন। এন আর এস মেডিক্যালেও সিনিয়র ডাক্তারদের ইস্তফার হুঁশিয়ারির খবর পাওয়া গিয়েছে। আমরণ অনশনে জুনিয়ররা, কেন আলোচনায় আপত্তি সরকারের? প্রশ্ন তুলে অধ্যক্ষকে ডাক্তারদের চিঠি, সরকারকে বেঁধে দেওয়া হল ২৪ ঘণ্টার ডেডলাইন। 


অন্যদিকে জানা গিয়েছে, আজ ৯ অক্টোবর সন্ধ্যায় জুনিয়র ডাক্তারদের ফের বৈঠকে বসার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে স্বাস্থ্যভবনে। জুনিয়র ডাক্তারদের ইমেল করেছেন মনোজ পন্থ। ৮ থেকে ১০ জন প্রতিনিধি নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। আজ সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিটে বৈঠকে বসার জন্য ডাকা হয়েছে। এর পাশাপাশি জানা গিয়েছে, জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন মঞ্চে যাচ্ছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।