কলকাতা: ৯ অগাস্ট আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের সেমিনার হল থেকে উদ্ধার হয় তরুণী চিকিৎসকের মৃতদেহ। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্য়ে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। সিবিআই-এর চার্জশিটেও ধর্ষণ ও খুনে মূল অভিযুক্ত হিসাবে দেখানো হয়েছে একমাত্র সঞ্জয় রায়কেই। আগামীকাল এই মামলার রায় ঘোষণা। আর তার আগে ফের সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ নির্যাতিতার বাবার।
এদিন এবিপি আনন্দের ঘণ্টাখানেক সঙ্গে সুমন অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, "সত্য এখনও উদঘাটিত হয়নি। একজনের পক্ষে এই কাজ ঘটানো অসম্ভব। আমরা সিবিআইয়ের উপরও ভরসা রাখতে পারছি না। আমরা হাইকোর্টের বিচারপতি তত্ত্বাবধানে ইন্ডিপেন্ডেন্স ইম্পেরিয়াল অফিসারকে দিয়ে তদন্ত করাতে চেয়েছিলাম। হাইকোর্ট সিবিআইকে ভাল মনে করে, সিবিআইকে দিয়েছিল। প্রথম দিকে সিবিআইয়ের উপর ভরসা রেখেছিলাম। আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিল। কলকাতা পুলিশ প্রথম দিন যা করেছে। আমার মেয়ের মৃত্যু আমাদের কাছে শোকের বিষয়। পুলিশের কর্মকাণ্ডে আমরা দুঃখ পেয়েছি। পুলিশের মানসিক অত্যাচার সহ্য করেছি। সেটা পুলিশ কার নির্দেশে করেছিল সেটা পুলিশই জানে। বিচারপতি সব দিক দেখেই সিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সিবিআইয়ের কাছ থেকে আজ পর্যন্ত আমরা কিছুই জানতে পারিনি। এই যে রিপোর্ট ভাইরাল হয়েছে সেখান থেকে জানতে পারছি। সিবিআই যোগযোগ করে না। এটাই তো আশ্চর্যের বিষয়, সুপ্রিম কোর্টের সামনে দাঁড়িয়ে এত মিথ্যে কথা বলা যায়।
চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের পর পাঁচ মাসের বেশি সময় কেটে গিয়েছে। মামলা, প্রতিবাদ, অনশন আন্দোলন, রাত দখল, সিবিআই তদন্ত, দীর্ঘ শুনানি, থেকে শুরু করে আইনজীবী বদল ঘটে গেছে অনেক কিছু। শেষ হয়েছে বিচারপ্রক্রিয়াও। কিন্তু সঞ্জয় রায় একা ছিল না সঙ্গে আরও কেউ? এই নৃশংস ঘটনার সঙ্গে কি আরও কেউ বা কারা জড়িত? বিশেষ কাউকে বা একাধিকজনকে কি আড়াল করার চেষ্টা করা হচ্ছে? কেন ধর্ষণ করে খুন করা হল তরুণী চিকিৎসকে? শিয়ালদা আদালতে চার্জশিটের সঙ্গে সিসিটিভি ফুটেজের যে বিবরণ জমা দেয় সিবিআই, তাতে দাবি করা হয়, ঘটনার দিন রাতের সাড়ে ৩ ঘণ্টার CCTV ফুটেজে ধরা পড়ে ৬৮ বার যাতায়াত। কিন্তু, সিবিআই দাবি করে, একমাত্র সঞ্জয় রায় ছাড়া কাউকেই চেনা যায়নি।আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনাকে আদালতে বিরলের মধ্যে বিরলতম বলে উল্লেখ করেছে সিবিআই। ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের সর্বোচ্চ সাজার আর্জিও জানিয়েছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি।