কলকাতা : স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, সোহিনী সরকার, সুদীপ্তা চক্রবর্তীরা প্রায় প্রতিদিনই পথে নামছেন আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে। মঙ্গলবারও তাঁর অন্যথা হয়নি। এদিন রাতে স্বস্তিকা ছিলেন শ্যামবাজারে। গলা তুলেছেন আরজি করের নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে। এদিন স্বস্তিকা যেমন ধর্ষণ বিরোধী বিলের বিষয়ে কথা বলেন, তেমনই সমালোচনা করেন মহিলাদের নাইট ডিউটি প্রসঙ্গে রাজ্যের ভাবনার। প্রশ্ন তোলেন, বাড়ি থেকে কোন সময়ে বেরোব, কোন সময়ে কাজ করব, সেটাও কি রাজ্য সরকার ঠিক করে দেবে?
রোজই কোথাও না কোথাও আন্দোলনে থাকছেন তিনি। প্রতিবাদ স্থল থেকে সহ-নাগরিকদের সঙ্গে আপলোডও করেছিলেন ছবি। সেই ছবিতে তাঁর মুখ হাসি-হাসি কেন, তা নিয়েও ট্রোলিংয়ের শিকার হয়েছেন অভিনেত্রী। এবার দিলেন তার মোক্ষম জবাব, সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেই।
তিনি লেখেন. ' আমি সন্দীপ ঘোষ নই। আমি রেপ করিনি। আমি খুন ও করিনি। রাস্তায় নেমে ১৫ ঘণ্টা ধরে প্রতিবাদরত মহিলা বা পুরুষদের সারাক্ষণ মুখ গম্ভীর করে থাকতে হবে সেই নিয়মটা কে বানালো? আর কোন নিয়ম মানব না। যেভাবে মনে হবে সেই ভাবে রাস্তায় নামব, দিনে, রাতে। এরা আমার অপরিচিত। এদের সবার সঙ্গে আজকে আলাপ হলো। কত অচেনা মানুষ চেনা হয়ে উঠছে।
বেশ করেছি হেসেছি। যারা ২০ দিন ধরে রোজ জেগে আছে তারা যে ভাবে ভাল থাকার হোক থাকুক। যে যেভাবে প্রতিবাদ করার করুক। হেসে বা না হেসে।'
এখানেই থামেননি স্বস্তিকা। ট্রোল করা নেটিজেনদের দিকে ছুড়ে দেন আরও একটি প্রশ্ন, 'যারা হেসেছি বলে ট্রোল করতে ব্যস্ত, তারা কেউ একবারও জিজেস করল না কিন্তু যে এতগুলো মেয়ে রাস্তায়, শ্যামবাজার মোড়ে তারা বাথরুম কোথায় যাবে? কারুর পিরিয়ড হোলে কোথায় প্যাড এর ব্যবস্থা হবে? ছি ছি এসব একদম ভাববেন না।'
স্বস্তিকার এই পোস্টে পাশে দাঁড়িছেন বহু নেটিজেনই। মৌমিতা মজুমদার নামে একজম মন্তব্য করেছেন '...ফাঁসিতে যাওয়ার আগে ক্ষুদিরামের নিশ্চয়ই হাসি পাচ্ছিলনা তাও তিনি হেসেই মৃত্যুবরণ করেছিলেন।। আসলে আন্দোলনে অনেক কঠিন সময় আসবে তবুও মুখের হাসি মেলানো যাবে না।। জনগণের এই হাসিতেই প্রতিটি যুগের প্রতিটি রাষ্ট্র ভয় পেয়েছে।। তাই হাসি মিলিয়ে যেতে দেওয়া যাবে না।। আন্দোলন চলবে হাসি মুখেই চলবে ।।।'
হিন্দোল পালিত নামে একজন লেখেন 'মেয়েরা হাসলে প্রবলেম, কাঁদলে প্রবলেম, রাস্তায় বেরোলে প্রবলেম, ফিরতে দেরি হলে প্রবলেম, বেশি পড়াশুনো করলে প্রবলেম, রোগা হলে প্রবলেম, মোটা হলে প্রবলেম। অর্থ্যাৎ মেয়েমাত্রেই প্রবলেম। এমনটাই অনেকে এই দুহাজার চব্বিশেও মনে করেন। এদের বাদ দিয়েই আপনি-আপনারা-আমরা এগিয়ে চলি ।'