সন্দীপ সরকার, কলকাতা :  ৪২ দিন টানা কর্মবিরতির পর, ১০ দিন আংশিক কাজ করার পর , ফের পূর্ণাঙ্গ কর্মবিরতি শুরু করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সোমবার থেকে রাজ্যের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজে আবার ফিরেছে জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি। প্রথম দফায় জুনিয়র ডাক্তারদের পূর্ণাঙ্গ কর্মবিরতিতে সম্পূর্ণ সায় থাকলেও, এবার তাঁরা ফের কর্মবিরতি শুরু করার পর, তাঁদের সিদ্ধান্ত পুর্নবিবেচনার জন্য় পরামর্শ দিয়েছেন সিনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ।  এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে বৃহস্পতিবার সন্ধে থেকে জেনারেল বডি মিটিংয়ে বসেন সিনিয়র ও জুনিয়র ডাক্তাররা। ম্যারাথন মিটিং শেষ হয়  ১০ ঘণ্টা পর। এখন আগামী দিনে আন্দোলন কোন পথে এগোয়, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবেন জুনিয়র ডাক্তাররা। পুজোর সময় তাঁরা কাজে ফিরছেন কি না, ফিরলেও অবস্থান - বিক্ষোভ কোনপথে এগোবে সবকিছুই জানানো হতে পারে বিকেলে। সূত্রের খবর, পূর্ণ কর্মবিরতি থেকে সরে আসার পক্ষে মত দিয়েছেন বেশিরভাগ আন্দোলনকারী। 


শুক্রবার সকালে শেষে হয় জিবি মিনিং । আন্দোলনের গতিপথ চূড়ান্ত করতে আগের দিন রাত ৮টা নাগাদ বৈঠকে বসেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।  সূত্রের খবর, পূর্ণ কর্মবিরতি থেকে সরেও আসতে পারেন আন্দোলনকারীরা। কারণ , বুধবার, মহালয়ার দিন সন্ধেয়  যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয়ে কনভেনশনে বক্তব্য  রাখতে গিয়ে, জুনিয়র ডাক্তারদের উদ্দেশে আন্দোলন জারি রাখলেও কাজে ফেরার পরামর্শের কথা শোনা যায় সিনিয়র চিকিৎসক ও বিশিষ্টদের একাংশের গলায়। 


সূত্রের খবর, শুক্রবারও একটি প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দিতে পারে জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট। সরকারকে সময় বেঁধে দেওয়া পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের। সময়ের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে অনশনে বসতে পারেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।


সূত্রের খবর, বিকেল নাগাদ কলকাতার সব মেডিক্যাল কলেজ থেকে মিছিল বের করতে পারেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজ থেকে আলাদা আলাদা মিছিল বের হবে। সব মিছিল শেষ হবে ধর্মতলায়। সেখান থেকেই পরবর্তী কর্মসূচির ঘোষণা করতে পারেন আন্দোলকারীরা। 


অন্যদিকে, জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতি নিয়ে হাইকোর্টে যে জনস্বার্থ মামলা করা হয়েছিল, শুক্রবারই তড়িঘড়ি করে সেই শুনানি করার দরকার নেই বলেই মতপ্রকাশ করেছেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। জনস্বার্থ মামলা নিয়ে প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইনজীবী, তিনিদ্রুত শুনানির আর্জি জানান। কিন্তু তাতে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি রাজি হননি। বরং মামলাকারীকে অবকাশকালীন বেঞ্চে যাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। 


আরও পড়ুন :


দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান, ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা পেল বাংলা