কলকাতা: আর জি কর-কাণ্ড নিয়ে রবিবারেও প্রতিবাদে গর্জে উঠল শহরের রাজপথ। স্লোগান-মিছিলে সরগরম উত্তর থেকে দক্ষিণ। দাবি একটাই- 'জাস্টিস ফর আর জি কর, দোষীদের শাস্তি'। এবার সেই আবহে তৃণমূলে অস্বস্তি বাড়ালেন সুখেন্দু শেখর রায়।
আর জি কর-কাণ্ডে তোলপাড়ের মধ্যে ফের ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট সুখেন্দুশেখর রায়ের। জুলাইয়ে বাস্তিল দুর্গ ধ্বংসের কথা মনে করিয়ে সেপ্টেম্বরে পোস্ট তৃণমূল সাংসদের। তিনি পোস্টে লিখেছেন, 'জুলাই, ১৭৮৯....বাস্তিল দুর্গ মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছিল বিক্ষোভকারীরা। জন্ম হয়েছিল ঐতিহাসিক ফরাসি বিপ্লবের'। তৃণমূল নেতার এই পোস্ট নিয়েই রাজনৈতিক মহলে জল্পনা।
এর আগে ১৪ অগাস্ট মেয়েদের রাত দখলের কর্মসূচিকে সমর্থন থেকে বাড়ির সামনে ধর্না দিয়েছিলেন সুখেন্দু শেখর রায়। প্রতিবাদের পাশাপাশি সিপি-কে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের দাবি জানিয়েছিলেন সুখেন্দুশেখর। শুধু তাই নয়, আরজি করকাণ্ডে মুখ খোলার জেরে একাধিকবার তাঁকে তলবও করেছিল পুলিশ। গ্রেফতারির আশঙ্কায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ পর্যন্ত হয়েছিলেন। দলের একাংশের কটাক্ষের মুখেও পড়তে হয়েছিল। এরপরও কিন্তু নিজের কড়া অবস্থান থেকে সরতে নারাজ ছিলেন তৃণমূলের তিনবারের রাজসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। তিনি বলেছিলেন, 'আমি তো একটা অসামাজিক জীব নই, যে সমাজে একটা ঘটনা ঘটবে, আর আমি দেখেও চোখ বন্ধ করে থাকব, অন্ধ হলে কি প্রলয় বন্ধ করা যায় নাকি?'
এদিকে রবিবারে যখন শহর ভাসছে প্রতিবাদের মিছিলে, সেই দিনেই ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট সুখেন্দুশেখর রায়ের।
আরও পড়ুন, 'থামছি না, সরকারে ভরসা হারাচ্ছি', উত্তর থেকে দক্ষিণ আজ বিচার চেয়ে পথে নাগরিক সমাজ
প্রসং বাস্তিল দুর্গ
১৭৮৯ সালের ১৪ জুলাই ফ্রান্সে রাজতন্ত্রের পতন হয়েছিল। রাজা ষোড়শ লুইয়ের বাস্তিল দুর্গ দখল করেছিলেন ফ্রান্সের সাধারণ নাগরিকরা। জনগণের কাছে বাস্তিল দুর্গ ছিল রাজতন্ত্র, ইউরোপে মধ্যযুগীয় শোষণের প্রতীক। বাস্তিল দখলকে প্রাচীন শাসনের সমাপ্তির প্রতীক হিসেবে দেখা হয়। শত শত বছর ধরে নিপীড়নের শিকার ফরাসি জনগণের ভেতর জমা হওয়া ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটে এর মাধ্যমে। ১৪ জুলাই, ভোর। বন্দুক, তলোয়ারসহ বিভিন্ন অস্ত্রে সজ্জিত বিক্ষুব্ধ জনতা বাস্তিলের চারপাশে জড়ো হতে শুরু করে। বিক্ষুব্ধ জনতা ভেতরে ঢুকে পড়ে দখল নেয় দুর্গের। এই দিনটিকে ফরাসি-জাগরণের শুরু বলে ধরা হয় । ওই দিনটিকে বাস্তিল দিবস হিসেবে আজও পালন করা হয়।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে