কলকাতা: আর জি কর-মামলায় চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের আমৃত্যু কারাদণ্ড (RG Kar Verdict)। তবে আর জি কর-কাণ্ডে শিয়ালদা কোর্টের রায়ে সন্তুষ্ট নন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন বলেন মুখ্যমন্ত্রী, 'আমার হাতে থাকলে আগেই ফাঁসির অর্ডার করাতে পারতাম।' আর এবার সঞ্জয়ের মৃত্যুদণ্ড চেয়ে হাইকোর্টে যাচ্ছে রাজ্য (State Government) , জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)।
এদিনআর জি কর-মামলার (RG Kar Case) রায়ের পর মুখ খুললেন ডায়মন্ডহারবারের তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।'সমাজে ধর্ষকদের কোনও জায়গা নেই, ফাঁসিই একমাত্র পথ যদি পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণ তাঁর বিরুদ্ধে যায়। করদাতাদের টাকা নষ্ট করে কাউকে জেলবন্দি করে রাখার কোনও অর্থ নেই। সঞ্জয়ের মতো ধর্ষকের পিছনে গুচ্ছ গুচ্ছ টাকা খরচ করা অর্থহীন', ঘনিষ্ঠ মহলে প্রতিক্রিয়া অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। 'সাম্প্রতিক অতীতে কলকাতা ও রাজ্য পুলিশ প্রশংসনীয়ভাবে এই ধরণের একের পর এক মামলায় ১ থেকে ২ মাসের মধ্যে বিচারপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে। দোষীদের প্রত্যেকের ফাঁসির সাজা হয়েছে, কিন্তু আর জি কর মেডিক্যালের ক্ষেত্রে তা হল না', ঘনিষ্ঠ মহলে প্রতিক্রিয়া ডায়মন্ডহারবারের তৃণমূল সাংসদের।
আর জি কর মেডিক্য়ালে ধর্ষণ-খুনের ঘটনাকে বিরলের মধ্য়ে বিরলতম বলে মানলেন না শিয়ালদা কোর্টের বিচারক অনির্বাণ দাস। দোষী সাব্য়স্ত সঞ্জয় রায়কে আমৃত্য়ু কারাদণ্ড দিলেন তিনি। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ জুনিয়র থেকে সিনিয়র চিকিৎসকরা। একে বিচারের নামে প্রহসন বলেও দাবি করেছেন কেউ কেউ। বিচারক অবশ্য় নির্দেশনামায় লিখেছেন, আদালতকে জনতার চাপের কাছে নতিস্বীকারের প্রলোভন এড়িয়ে, এমন রায় দিতে হবে, যা বিচারব্য়বস্থার মর্যাদা এবং বৃহত্তর স্বার্থ রক্ষা করে। আর জি কর মেডিক্য়ালে ধর্ষণ-খুনের মামলায় সঞ্জয় রায়কে আমৃত্য়ু কারাদণ্ড দিলেন শিয়ালদা কোর্টের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক অনির্বাণ দাস।
আরও পড়ুন, আমি যদি প্রভাবশালী হতাম, কালোবাজারি হতাম, হয়তো আমার মেয়েকে ছুয়ে দেখার সাহসও দেখাতো না : মা
কিন্তু, এই রায় শুনে বিস্মিত জুনিয়র এবং সিনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁদের প্রশ্ন - এমন নৃশংস ঘটনাতেও সর্বোচ্চ শাস্তি নয় কেন? চিকিৎসক সজল বিশ্বাস বলেন, এটাকে কিছুতেই মেনে নিচ্ছি না। মেনে নেওয়া যায় না। অতএব, আন্দোলন আরও তীব্রতর হবে। চিকিৎসক পবিত্র গোস্বামী বলেন, রাজ্য় সরকারের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের নিশ্চয়ই এমন একটা কোনও বোঝাপড়া হয়েছে, যার জন্য় CBI-কে ন্য়ূনতম স্বাধীনভাবে কাজ করার অধিকারটা দেওয়া হয়নি।