কলকাতা : মঙ্গলবার নবান্ন অভিযান ঘিরে তুলকালাম পরিস্থিতি তৈরি হয় শহর জুড়ে। পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের নবান্ন অভিযান ঘিরে মঙ্গলবার দীর্ঘক্ষণ উত্তাল ছিল কলকাতা ও হাওড়া। তার রেশ কাটার আগেই ময়দানে নামে বিজেপি। তারপর বুধবার সকাল ছ'টা থেকে বারো ঘণ্টার বাংলা বনধের ডাকে তারা। মঙ্গলবার বিকেলে বিজেপির লালবাজার অভিযান ঘিরেও ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়।
নবান্ন অভিযানের আগের দিনই, অশান্তি পাকানোর ষড়যন্ত্রের আশঙ্কার কথা বলেছিল পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। তৃণমূলের পক্ষ থেকেও সাংবাদিক বৈঠক করে বলা হয়, নবান্ন অভিযানের পেছনে বিরোধী রাজনৈতিক দলের বড়সড় অশান্তি পাকানোর ছক রয়েছে। প্রমাণ করতে, তৃণমূল সামনে আনে ২টি ভাইরাল ভিডিও-ও। রাজ্যে অস্থিরতা তৈরি করতে, নবান্ন অভিযানে গুলিও চালানো হতে পারে, পরিকল্পিতভাবে অশান্তি করতেই, ছাত্রসমাজের নামে এই কর্মসূচি বলে দাবি করে তৃণমূল। এরপর সেই সূত্রেই ৩ বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করে ঘাটাল থানার পুলিশ।
পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের ডাকে, মঙ্গলবারের নবান্ন অভিযানকে বেআইনি, অবৈধ বলে ঘোষণা করে পুলিশ। এরপর নবান্ন অভিযানে ধুন্ধুমার বেঁধে যায় হাওড়া ও কলকাতা উভয় জায়গাতেই। বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করে পুলিশের তরফে জানানো হয়, নবান্ন অভিযান থেকে কলকাতা পুলিশ মোট ১২৬ জনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের মধ্যে ১০৩ জন পুরুষ । ২৩ জন মহিলা । রাজ্য পুলিশের হাতে ধৃতের সংখ্যা ৯৪। সবমিলিয়ে গ্রেফতারের সংখ্যাটা ২০০ র উপরে।
আর এদিনই এবিপি আনন্দ-র ঘণ্টাখানেক সঙ্গে সুমন অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন নবান্ন অভিযানের অন্যতম আয়োজক সায়ন লাহিড়ি। সেদিন অনুষ্ঠান সেরে বেরোতেই অপরাধ মূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগে তাঁকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের সদস্য সায়ন। পুলিশের প্রকাশ করা ভিডিওতে শহরের একটি পাঁচতারা হোটেলে ঢুকতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। সেখানে তিনি কোনও রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে বৈঠক করেছেন বলে দাবি করে পুলিশ। তার প্রেক্ষিতেই গ্রেফতার করা হয় সায়নকে। যদিও নবান্ন অভিযানের আগের দিনই সায়ন বার্তা দিয়েছিলেন 'আমরা কোনও ভাঙচুর করব না। পুলিশকে আঘাত করব না। শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করব। কারণ আমরা ভাঙতে নয়, গড়তে চাইছি। '
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: বিজেপির লালবাজার অভিযানে ধুন্ধুমার! ব্যারিকেড ধরে BJP কর্মী-পুলিশ ধস্তাধস্তি