শান্তনু নস্কর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: তীব্র তাপপ্রবাহের জেরবার গোটা দক্ষিণবঙ্গবাসী। তার মধ্যে আর্দ্রতাও পৌঁছেছে চরমে। অনেকেই ট্রেন ধরে দার্জিলিং যাত্রা করছেন। কিন্তু সে আর কত দিন। তারপর তো ফিরলেই ফোস্কা। সন্ধ্যায় বাইরে বের হলেই দেখা যাচ্ছে, বিরিয়ানির দোকানের থেকেও বেশি ভিড়, এসি-কুলারের মলগুলিতে। কিন্তু এত সব কথা ও কাহিনী সবই মানুষকে ঘিরে। বন্য প্রাণীদের কথা ভাবা হচ্ছে কি ? আজ্ঞে হ্যাঁ , রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারদের জন্য এবার গরমের হাত থেকে বাঁচতে করা হয়েছে রয়্যাল অ্যারেঞ্জমেন্ট ঝড়খালিতে।


গরমের হাত থেকে বাঁচতে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারদের জন্য রাজকীয় আয়োজন


মূলত, গত কয়েকদিনের তীব্র দাবদাহে কার্যত নাজেহাল সাধারণ মানুষ। এই গরমের দাবদাহ থেকে বাঁচতে নানা ধরণের পরামর্শও দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। অন্যদিকে, এই গরমে ঝড়খালি ব্যাঘ্র পুনর্বাসন কেন্দ্রে থাকা বাঘেদের জন্যও ইতিমধ্যেে এলাহি আয়োজন করেছে বন দফতর (Forest Department)। এই পুনর্বাসন কেন্দ্রে থাকা তিনটি বাঘ যাতে কোনওভাবেই গরমে কষ্ট না পায় সে জন্য পশু চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী, তাঁদের জন্য নানা আয়োজন করা হয়েছে। 


পাইপের মাধ্যমে জল ছিঁটিয়ে স্নান, ভিটামিন সি ট্যাবলেট , ORS


এই গরমে যাতে এই পুনর্বাসন কেন্দ্রে থাকা বাঘেরা কোনওভাবে কষ্ট না পায়, সেই কারণে দুই বেলা দীর্ঘক্ষণ ধরে পাইপের মাধ্যমে জল ছিঁটিয়ে তাঁদের স্নান করানো হচ্ছে। যদিও এই দৃশ্য কমবেশি প্রতিটা গরমেই দেখা যায়। তবে এখানেই শেষ নয়, তীব্র তাপপ্রবাহের মাঝে এবার একটু অধিকমাত্রাতেই যত্ন নেওয়া হচ্ছে রয়্যালবেঙ্গল টাইগারদের। পাশাপাশি ভিটামিন সি ট্যাবলেট এবং ওআরএস (ORS) জলে গুলে খাওয়ানো হচ্ছে এই রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারদের।


বাথটবে স্নান, স্ট্যান্ড ফ্যানের হাওয়া খাচ্ছে বাঘেরা


অন্যদিকে ২৪ ঘণ্টা ধরেই বাঘেদের খাঁচার সামনে বিশালাকার স্ট্যান্ড ফ্যানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এসব তো আছেই, তাছাড়াও বাঘেদের এনক্লোজারের মধ্যে তৈরি করা হয়েছে বাথ-টাব। এবার আরও নতুন তিনটি বাথ-টাব তৈরি করা হচ্ছে বাঘেদের জন্য। এছাড়াও প্রাকৃতিক পুকুর রয়েছে বাঘেদের স্নানের জন্য। এনক্লোজারের মধ্যে ছায়ার ব্যবস্থা করতে ছাউনিও করা হয়েছে। বাঘেদের খাঁচার মধ্যে বড় বড় পাত্রে জল রাখা হয়েছে, যাতে নিজেদের প্রয়োজন মত সেই জল খেতে পারে বাঘ। 


আরও পড়ুন, ভোটের মুখে গত ২৪ ঘণ্টায় পরপর বিস্ফোরণ বহরমপুরে, উড়ল বাড়ির চাল..


 খাবারের মেনু 


বাঘেদের শরীরকে শীতল রাখতে এই সমস্ত ব্যবস্থা করা হলেও তাঁদের খাবারের মেনুতে আপাতত অন্য কোনও পরিবর্তন করা হয়নি বলেই বন দফতর সূত্রের খবর। তবে দুবেলাই বাঘেদের খাঁচাগুলিকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখছেন সেখানকার কর্মীরা। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।