কলকাতা: কয়লা পাচারকাণ্ডে (Coal Smuggling Case) সিবিআইয়ের (CBI) পর এবার ইডি-র মুখোমুখি রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায় (Rujira Banerjee)। এদিন ১১টার মিনিট কয়েক পরেই শিশুপুত্রকে কোলে নিয়ে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে (Saltlake CGO Complex) পৌঁছন অভিষেক-পত্নী। সূত্রের খবর, রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিল্লি থেকে কলকাতায় এসেছে ইডি-র অফিসারদের একটি দল।দলে রয়েছেন দুই মহিলা অফিসার।


ব্যাঙ্ককের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট: ইডি সূত্রে খবর, কয়লা পাচারকাণ্ডে তদন্তের কেন্দ্রে রয়েছে ব্যাঙ্ককের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। ইডি-র দাবি, সেখানে জমা পড়েছে কয়লা পাচারের টাকা। ইডি সূত্রে দাবি, ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তারা জানতে পারে, বিদেশি ব্যাঙ্কে ওই অ্যাকাউন্টের মালিক রুজিরা নরুলা। ইডি-র দাবি, রুজিরা নরুলাই রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইডি সূত্রে দাবি, প্রাথমিকভাবে ওই অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন না বলে দাবি করেছেন রুজিরা।


জল্পনা বাড়াচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের স্ক্রিনশট: ইডি সূত্রে খবর, দিল্লি থেকে আসা তদন্তকারীদের হাতে এসেছে বেশ কিছু হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের স্ক্রিনশট। ব্যাঙ্ককের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাপের স্ক্রিনশট সামনে রেখেই এদিন অভিষেক-জায়া রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। খবর সূত্রের। 


এর আগে দিল্লিতে ইডি-র সদর দফতরে একাধিকবার ডাকা সত্ত্বেও হাজিরা দেননি রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয়, কলকাতায় গিয়ে রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে ইডি। সেই সূত্রেই আজ সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করা হয়েছে অভিষেক-জায়াকে, খবর সূত্রের। 


অন্যদিকে, বিধাননগর কমিশনারেটের তরফে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে সিজিও কমপ্লেক্স। সমস্ত গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পরিচয়পত্র দেখিয়ে ভিতরে ঢুকতে হচ্ছে সরকারি কর্মীদের। 


কিছুদিন আগে কয়লা পাচারকাণ্ডে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Rujira Banerjee) বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে দিল্লির (Delhi) পাতিয়ালা হাউস কোর্ট, খবর সূত্রের। ইডি (Enforcement Directorate) সূত্রে খবর, জামিনযোগ্য ধারায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয় অভিষেক-পত্নীর নামে। ২০ অগাস্টের মধ্যে আদালতে হাজিরার নির্দেশও দেওয়া হয় রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।   


আরও পড়ুন:  Swasthya Bhawan: পাভলভে চরমে দুর্নীতি, শহরে বাকি মানসিক হাসপাতালগুলির অবস্থা জানতে চাইল স্বাস্থ্য দফতর