অমিতাভ রথ, ঝাড়গ্রাম : আতঙ্কে বাঙ্কারে কাটাতে হয়েছে। পরিবারের কেটেছে নিদ্রাহীন রাত। অবশেষে ফিরল স্বস্তি। যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন (Ukraine) থেকে বাড়ি ফিরলেন ঝাড়গ্রামের রঘুনাথপুরের (Jhargram Raghunathpur) রূপম মণ্ডল। ইউক্রেনে ডাক্তারি পড়তে গিয়েছিলেন রূপম। আরও অনেক ভারতীয় পড়ুয়ার মতোই আটকে পড়েছিলেন। অবশেষে মঙ্গলবার রাতে বাড়ি ফিরে আসেন রূপম। খুশি পরিবারের সদস্যরা।


ইউক্রেনে যেভাবে গোলাগুলির শব্দ চারপাশে, আকাশ থেকে খসে পড়ছে মিসাইলের টুকরো, নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে পাগলের মতো ছুটে বেড়াচ্ছেন ইউক্রেনের লোকজন। সেই ভয়ানক পরিস্থিতির মাঝে ইউক্রেনের খারকিভে বাঙ্কারের মধ্যে থাকতে হয়েছে ঝাড়গ্রাম শহরের রঘুনাথপুরের বাসিন্দা রূপমকে। ২০১৮ সালে ঝাড়গ্ৰাম থেকে ইউক্রেনে ডাক্তারি পড়ার জন্য গিয়েছিলেন।


রুশ সেনা দেখে আরও অন্যান্য ভারতীয় পড়ুয়ার মতোই আতঙ্কের মধ্যে দিন কেটেছে রঘুনাথপুরের রূপমের । বাড়ির ছেলে নিরাপদে ফিরে আসায় আতঙ্ক কেটেছে পরিবারের। রূপমের বাবা জানান, ছেলেকে নিয়ে আতঙ্কে দিন কেটেছে । বাঙ্কারের মধ্যে দিন কাটিয়েছে ছেলে। খাবারও প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছিল। দোকানপাটও প্রায় সমস্ত বন্ধ হয়ে যায় আশপাশে। 


এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারায় স্বভাবতই খুশির হাওয়া পরিবারে। এদিকে রূপম তাঁর মতোই ইউক্রেনে আটকে পড়া বাকিদের ফেরত আনার অনুরোধ জানিয়েছেন সরকারকে।


যুদ্ধ শুরুর ২ সপ্তাহ পরেও ইউক্রেন থেকে ভারতীয় পড়ুয়াদের ফেরানোর প্রক্রিয়া শেষ হয়নি। পড়ুয়ারা নিজেদের উদ্যোগে কোনওরকমে পৌঁছোচ্ছেন পোল্যান্ড, হাঙ্গেরি, রোমানিয়ায়। সেখান থেকে তাঁদের আনা হচ্ছে দিল্লিতে। বীরভূম ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার তিন ডাক্তারি পড়ুয়া ঘরে ফেরার পরেও ইউক্রেনের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা ভুলতে পারছেন না।


প্রসঙ্গত, রুশ হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে ইউক্রেনের একাধিক শহর। এর মধ্যেই কিভের পথে এগোচ্ছে রুশ সেনা। অন্যান্য শহরেও চলছে হামলা। ইউক্রেনের দাবি, রুশ সেনার গোলাবর্ষণে এ পর্যন্ত ৬১টি হাসপাতাল ধ্বংস হয়েছে। নষ্ট হয়েছে চিকিত্সার সরঞ্জাম।