সমীরণ পাল, ব্যারাকপুর: ইউক্রেন (Russia Ukraine Crisis) থেকে উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) ব্যারাকপুরের (Barrackpore) বাড়িতে ফিরেছেন ডাক্তারির ছাত্র ঐশিক। তিনি ইউক্রেনে ডেনিপ্রোতে ডাক্তারি পড়তেন। ব্যারাকপুরের ব্যাঙ্ক পার্কের বাড়িতে বসে ঐশিক জানালেন, ইউক্রেন থেকে এখনও ফিরতে না পারা ভারতীয় বন্ধুদের জন্য তাঁর চিন্তা হচ্ছে। সবসময় তাঁদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগও করা যাচ্ছে না।
২০১৭ সালে ইউক্রেনে ডাক্তারি পড়তে যান। উৎকণ্ঠার পরিস্থিতি থেকে কীভাবে বেরিয়ে এলেন তিনি? ঐশিক জানাচ্ছেন, “এক মাস আগে থেকেই আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। সাত দিন আগে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতি হয়। আমাদের বলা হয়, সব ছাত্রছাত্রীরা ইউক্রেন থেকে চলে যাও। কারণ পরিস্থিতি খারাপ দিকে এগোচ্ছে। আমি সেভাবেই এসেছি। আমার সঙ্গে কোনও সহপাঠী না থাকলেও অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও অনেক ভারতীয় ছিল। ওরাও ফিরে আসার চেষ্টা করছিল। আমিও সরাসরি কোনও ফ্লাইট পাইনি। ভায়া দিল্লি হয়ে ফিরি। মোবাইল, এটিএম কিছুই কাজ করছে না।‘’ঘরের ছেলে ফিরে আসায় খুশি পরিবারও। ঐশিকের মা জানালেন, “ছেলে যে ফিরে আসতে পেরেছে এতে আমি কৃতজ্ঞ। প্রচন্ড উৎকণ্ঠায় দিন কেটেছে। রাত ঘুম উড়ে গিয়েছিল।‘’
যুদ্বের দ্বিতীয় দিনে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ঢুকে পড়ল রাশিয়ার সেনা। বেলারুশের দিক থেকে রুশ সেনা ঢুকেছে বলে সূত্রের খবর। তুমুল সংঘর্ষ চলছে ইউক্রেনের বিভিন্ন জায়গায়। সেইসঙ্গে চলছে রাশিয়ার বিমানহানাও। ইউক্রেন সরকার স্বীকার করেছে, এখনও পর্যন্ত যুদ্ধে তাদের দেশের জওয়ান সহ ১৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৩৬০ জন। ইতিমধ্যে চেরনোবিলের পরিত্যক্ত পরমাণু কেন্দ্রের দখল নিয়েছে রুশ সেনা। সেখানে এখন পরমাণু বিদ্যুত্কেন্দ্র রয়েছে। ইউক্রেনের মেলিটোপল বিমানঘাঁটিতে বিস্ফোরণ হয়েছে। জোড়া বিস্ফোরণ হয়েছে কিয়েভেও।
আজ সকাল থেকেই কিয়েভে একের পর এক বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হানা চালায় রাশিয়া। বহু শহরে রাশিয়ার বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হানায় ধ্বংস হয়েছে বাড়িঘর। এখনও পর্যন্ত প্রায় ১ লক্ষ ইউক্রেন নাগরিক গৃহহারা হয়েছেন বলে সূত্রের খবর। তবে ইউক্রেনের পাল্টা দাবি, ৩০টি রুশ ট্যাঙ্ক, ১৩০টি সাঁজোয়া গাড়ি, ৫টি যুদ্ধবিমান ও ৬টি হেলিকপ্টার ধ্বংস করেছে তারা।