কিয়েভ: রাশিয়া তিনদিক থেকে আক্রমণ করার পর অসম যুদ্ধে নামতে হয়েছে ইউক্রেনকে। আমেরিকা, ব্রিটেন বা ন্যাটো সামরিক সাহায্য নিয়ে এগিয়ে আসেনি। এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি হতাশার সুরে বলেছেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ তাঁদের একাই লড়তে হচ্ছে। পাশে কেউ নেই। 


যুদ্বের দ্বিতীয় দিনে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের আরও কাছে পৌঁছে গেছে রুশ সেনা। তুমুল সংঘর্ষ চলছে বিভিন্ন জায়গায়। সেইসঙ্গে চলছে রাশিয়ার বিমানহানাও। ইউক্রেন সরকার স্বীকার করেছে, এখনও পর্যন্ত যুদ্ধে তাদের দেশের জওয়ান সহ ১৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৩৬০ জন। ইতিমধ্যে চেরনোবিলের পরিত্যক্ত পরমাণু কেন্দ্রের দখল নিয়েছে রুশ সেনা। 


ইউক্রেনের মেলিটোপল বিমানঘাঁটিতে বিস্ফোরণ হয়েছে। জোড়া বিস্ফোরণ হয়েছে কিয়েভেও।


সংবাদসংস্থা জানিয়েছে, মধ্যে কিয়েভে জোরাল বিস্ফোরণে শব্দ শোনা গিয়েছে। ইউক্রেনের মন্ত্রক উপদেষ্টা অ্যান্টন হেরাসচেঙ্কো বলেছেন, ক্রুজ ও ব্যালেস্টিক মিসাইল দিয়ে কিয়েভে হামলা শুরু হয়েছে।


বহু শহরে রাশিয়ার বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হানায় ধ্বংস হয়েছে বাড়িঘর। এখনও পর্যন্ত প্রায় ১ লক্ষ ইউক্রেন নাগরিক গৃহহারা হয়েছেন বলে সূত্রের খবর।
রাশিয়ার অগ্রগতি প্রতিরোধের মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে ইউক্রেনের বাহিনী। এরইমধ্যে জেলেনস্কি বলেছেন, তিনি কোনওভাবেই কিয়েভ ছাড়বেন না। এক ভিডিও বার্তায় জেলেনস্কি বলেছেন, শত্রুপক্ষ আমাকে এক নম্বর লক্ষ্যবস্তু চিহ্নিত করেছে। দ্বিতীয় লক্ষ্য আমার পরিবার। ওরা দেশের প্রধানকে ধ্বংস করে ইউক্রেনকে রাজনৈতিকভাবে ধ্বংস করতে চায়। 






ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, আমি রাজধানীতেই থাকব। আমার পরিবারও ইউক্রেনেই রয়েছে।


তবে এই যুদ্ধের বিরুদ্ধে রাশিয়ার বিভিন্ন শহরেও শুরু হয়েছে সাধারণ মানুষের বিক্ষোভ। পুতিন ও যুদ্ধ বিরোধী বিক্ষোভ দেখানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ১ হাজার ৭০০ রুশ নাগরিককে।  


এই সঙ্কটের সময় ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়েছে স্লোভাকিয়া।  তারা জানিয়েছে, ইউক্রেন থেকে যাতে শরণার্থীরা আসতে পারেন, তার জন্য খুলে দেওয়া হবে সীমান্ত। তদারকির জন্য সীমান্তে মোতায়েন করা হবে দেড় হাজার সেনা। গাড়ি ও ট্রেনে করে ইতিমধ্যেই ইউক্রেন থেকে পালাতে শুরু করেছেন মানুষ। ইউক্রেন-পোল্যান্ড সীমান্তে এমনই হাজারো শরণার্থীর ভিড়।