অর্ণব মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: শহিদ মিনারে বাজি বাজার (Bazi Bazar) বসা নিয়ে আপত্তি জানিয়ে, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংকে (Rajnath Singh) চিঠি দিল সবুজ মঞ্চ। তাতে, বাজি বাজারের অনুমতি বাতিল করার আবেদন করা হয়েছে। পাল্টা, উদ্যোক্তাদের বক্তব্য, আগের মতো এবারও বাজি বাজার হবে।


প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে চিঠি: রাজ্যে বাজির শব্দমাত্রা বাড়িয়ে ১২৫ ডেসিবেল করা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। তার মাঝেই, এবার শহিদ মিনার চত্বরে বাজি বাজার বসা নিয়েও উঠল প্রশ্ন। ২০১৯ সালের পর এবারই শহিদ মিনার চত্বরে বসতে চলেছে বাজি বাজার। ইতিমধ্যেই সেনার তরফে অনুমতিও পেয়েছেন উদ্যোক্তারা। কিন্তু, শহিদ মিনারে বাজি বাজার বসা নিয়ে আপত্তি সবুজ মঞ্চের। তাদের আপত্তির কথা জানিয়ে এবার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংকে চিঠি দিল সবুজ মঞ্চ।

পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা থেকে শুরু করে, উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুর বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ থেকে পুলিশের নজরদারি এসব নিয়ে যখন বিতর্ক তুঙ্গে। তখন রাজ্যে বাজির শব্দমাত্রা ৯০ ডেসিবেলের থেকে বাড়িয়ে ১২৫ ডেসিবেল করে দিল রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। আর এবার বাজি বাজার নিয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে চিঠি দিল সবুজ মঞ্চ। চিঠিতে বলা হয়েছে,কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ময়দানে কোনওরকম মেলার আয়োজন নিষিদ্ধ। তার ফলে, বিভিন্ন মেলা বিশেষত কলকাতা বইমেলা অন্যত্র স্থানান্তরিত হয়েছে। ময়দান শহরের কেন্দ্রস্থল। পরিবেশগত দিক থেকে যা খুবই স্পর্শকাতর। সেই কথা বিচার করে ময়দানে শুধুমাত্র কয়েক ঘণ্টার সভার অনুমতি রয়েছে। কলকাতাকে আরও দূষণ থেকে বাঁচাতে বাজি বাজারের অনুমতি বাতিল করুন। ৬ থেকে ১২ নভেম্বর শহিদ মিনার চত্বরে বাজি বাজার হওয়ার কথা।


গত, ১৭ অক্টোবর নির্দেশিকা জারি করে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ।নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সবুজ শব্দবাজির ক্ষেত্রে শব্দের মাত্রা ১২৫ ডেসিবেলের মধ্যে এবং সবুজ আতসবাজির ক্ষেত্রে শব্দের মাত্রা ৯০ ডেসিবেলের মধ্যে রাখতে হবে। বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে শুধুমাত্র সবুজবাজি বিক্রি ও ফাটানো যাবে। প্রশ্ন উঠছে, যেখানে প্রত্যেক বছর কালীপুজোর রাতে শব্দবাজির দৌরাত্ম্য রুখতে হিমশিম অবস্থা হয় পুলিশের, সেখানে শব্দের মাত্রা ৯০ থেকে বাড়িয়ে ১২৫ ডেসিবেল করার কী প্রয়োজন পড়ল? কাদের স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নিল পরিবেশ দফতর ও রাজ্য দূষণ পর্ষদ? চিকিৎসকদের একাংশের দাবি, এভাবে বাজির শব্দমাত্রা বাড়িয়ে দেওয়ার ফলে আমাদের কানে ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে। যদিও রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের দাবি করে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনেই যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে রাজ্যের পরিবেশ দফতরের নির্দেশে কথা বলা হয়েছে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের সঙ্গে।


আরও পড়ুন: Birbhum News: পদযাত্রায় যোগ দেওয়া জন্য MTS-দের চাপ! কাঠগড়ায় খোদ উপাচার্য