কলকাতা : ধুলিয়ানকাণ্ডে সাগরদিঘির কংগ্রেস বিধায়ক (Sagardighi Congress MLA) বায়রন বিশ্বাসের (Bayron Biswas) আগাম জামিন । হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে সাগরদিঘির কংগ্রেস বিধায়কের আগাম জামিন। ধুলিয়ানে তৃণমূল নেতাকে ফোনে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে এফআইআর দায়ের হয় তাঁর বিরুদ্ধে। তিনি অনুগামীদের নিয়ে বাড়িতে চড়াও হন, এই অভিযোগে সামশেরগঞ্জ থানায় এফআইআর দায়ের হয়। ধুলিয়ানের সেই মামলাতেই বায়রন বিশ্বাসের আগাম জামিন মঞ্জুর হল।


ISF বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকিকে ৪১ দিন জেলবন্দি রাখা, কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীর বাড়িতে মাঝরাতে পুলিশি অভিযান এবং গ্রেফতারি ঘিরে সম্প্রতি রাজ্য় রাজনীতি উত্তাল হয়েছিল। দিনকয়েক আগে সদ্য় নির্বাচিত কংগ্রেস বিধায়ক বায়রন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে তৃণমূল। ২০২১-এ তৃণমূলের জেতা আসন সাগরদিঘিতে, তৃণমূল প্রার্থীকে বড় ব্য়বধানে হারান বায়রন। কংগ্রেস বিধায়ক সেই বায়রন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে গালিগালাজ, হুমকি ও বাড়িতে চড়াও হওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন ধুলিয়ানের তৃণমূল নেতা সঞ্জয় জৈন। তাঁর দাবি, অনুগামীদের সঙ্গে নিয়ে বাড়িতে চড়াও হন বায়রন। সঞ্জয় জৈন বলেন, ভোটে তৃণমূলের প্রচার করেছিলাম। তাই হয়তো রাগ। কেন এমন করলেন। গালাগালি করেন। চড়াও হন।


তৃণমূলের বিক্ষোভ কর্মসূচি-


এরপরই বায়রন বিশ্বাসের গ্রেফতারির দাবিতে সরব হয় তৃণমূল। দিনকয়েক আগে সামশেরগঞ্জের  বিধায়ক আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মীরা। পরে পুলিশের আশ্বাসে বিক্ষোভ ওঠে। সামশেরগঞ্জ থানায় কংগ্রেস বিধায়কের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তৃণমূল নেতা সঞ্জয় জৈন। পুলিশ সূত্রে খবর, বায়রনের বিরুদ্ধে ৪টি জামিনযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করা হয়। 


ভোটের পরও সাগরদিঘি সরগরম ! কংগ্রেস বিধায়ক বায়রনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তৃণমূলের। মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলেন, ক্ষোভে দুঃখে অভিমানে তৃণমূল নেতা জৈনকে তিনি কিছু কথা বলেছেন। বাংলার সংস্কৃতিতে তৃণমূলের নেতারা প্রতিদিন যা করেন, বায়রন বিশ্বাসকে প্রতিদিন উত্তপ্ত করার পর উত্তেজিত হয়ে তিনি হয়তো এই ধরনের কথা বলে থাকতে পারেন। এই বায়রন বিশ্বাসকে তৃণমূল শ্লীলতাহানির কেস দিয়ে চাপে রাখতে চেয়েছিল ।


বায়রন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে তৃণমূলের অভিযোগ দায়েরের পর, কংগ্রেস বিধায়কের সমালোচনায় সরব হয়েছে বিজেপি-ও। মুর্শিদাবাদ উত্তর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি ধনঞ্জয় ঘোষ বলেন, উচিত হয়নি। তার কারণ তিনি খুব সুপরিচিত একটা মুখ। তাঁর বাবা একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। তাঁর ছেলে তিনিও একজন ব্যবসায়ী, তার থেকে বড় কথা তিনি সদ্য যে সাগরদিঘি বিধানসভা উপনির্বাচনে দু'হাত ভরে সাগরদিঘির মানুষ তাঁকে আশীর্বাদ করেছেন। তাঁর কাছে এই আচরণ এই ব্যবহার কোন মতেই কাম্য নয়।


আরও পড়ুন ; জয়ের ২০ দিন পর কাটল জট, বিধায়ক হিসেবে শপথ নিলেন বায়রন বিশ্বাস