কলকাতা : দলবদলের পরেই বাড়ল বায়রন বিশ্বাসের (Bayron Biswas) সুরক্ষা। সাগরদিঘির বিধায়কের (Sagardighi MLA) জন্য হাউস গার্ড মোতায়েনের সিদ্ধান্ত। কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগদানের পরেই বাড়ল নিরাপত্তা। ব্যক্তিগত রক্ষী ছাড়াও বাড়িতেও সর্বক্ষণ থাকবে নিরাপত্তারক্ষী। এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।


মাত্র তিন মাস আগেই কংগ্রেসের টিকিটে সাগরদিঘির উপনির্বাচনে জিতেছিলেন। সেই বায়রন বিশ্বাস গতকাল অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের হাত ধরে যোগ দেন তৃণমূলে। এনিয়ে অধীর চৌধুরী বলেন, 'দিদি যে খেলা আজ খেলছেন, একদিন সেই খেলায় নিজে শেষ হবেন।'


সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় লিখেছিলেন, কেউ কথা রাখেনি, তেত্রিশ বছর কাটলো, কেউ কথা রাখেনি। সাগরদিঘির বাম সমর্থিত কংগ্রেস বিধায়ক বায়রন বিশ্বাসও ৩ মাসের মধ্য়ে কথাখেলাপি করলেন ! সিপিএমের সমর্থনে কংগ্রেসের প্রতীকে জিতে পাল্টি খেলেন তৃণমূলে ! পঞ্চায়েত ভোটের আগে, বাংলায় ফের দলবদলের খেলা ! ভোটে হারের পর, দল ভাঙিয়ে বিধানসভায় কংগ্রেসকে শূন্য় করল ক্ষমতাসীন তৃণমূল। মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘির বিধায়ক বায়রন ৩০০ কিলোমিটার দূরে, পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে এসে যোগ দেন তৃণমূলে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মামাতো ভাই দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়ে সাগরদিঘির উপনির্বাচনে জিতেছিলেন বায়রন। এবার, সেই বায়রনের হাতে পতাকা তুলে দিয়ে, দলে টানলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়


এনিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেছেন, "দিদি যে খেলা আজ খেলছে একদিন সেই খেলায় নিজে শেষ হবে। দিদির দল এভাবেই এভাবেই শেষ হবে।"


বায়রনের দলবদলের পর অভিষেক মন্তব্য করেন, ‘বায়রন বিশ্বাসকে তৃণমূলে স্বাগত। আশা করি বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবেন বায়রন। কংগ্রেস-সিপিএম জোটে কাদের সুবিধা হয়েছে মানুষ দেখেছে। কংগ্রেস-সিপিএম জোটে বিজেপির লাভ হয়েছে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করে বিজেপির হাত শক্তশালী করছে। বাংলায় তৃণমূলকে ভাঙতে চেয়েছে কংগ্রেস, তাতে কার হাত শক্ত হবে? রামধনু জোটের নির্যাস শূন্য। আমরা ভাঙার খেলায় বিশ্বাস করি না, গড়ার খেলায় বিশ্বাস করি।’


অন্যদিকে বায়রনের বক্তব্য, ‘কংগ্রেসে কাজ করতে পারছিলাম না, আমি বরাবরই তৃণমূলে ছিলাম।’ এদিকে বায়রনের দলবদল নিয়ে তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়ে বিস্ফোরক দলেরই বিধায়ক। সাগরদিঘির বিধায়কের দলবদল নিয়ে বিস্ফোরক বারাসাতের তৃণমূল বিধায়ক। তিনি বলেন, 'একজনের ভোটে জিতে কীভাবে অন্য দলে চলে গেলেন ? এটা উচিত নয়, আমি এসব পছন্দ করি না। যে চিহ্ন দেখে মানুষ ভোট দিয়েছিল, তাহলে সেই চিহ্নেরই মূল্য থাকল না। তাহলে তো লোক ঠকানো হবে।'