সুনীত হালদার, হাওড়া: হাওড়ার (Howrah) পাইকারি বাজারে শুরু হল পদ্মার ইলিশ বিক্রি। আজ সকালে নিলামে ওঠে পদ্মার ইলিশ। তবে এবার ইলিশের দাম একটু বেশি। পাইকারি বাজারে ছোট মাছ ১ হাজার থেকে ১২০০ টাকা এবং বড় মাছ ১৫০০ থেকে ১৬০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। খুচরো বাজারে দাম আরও একটু বেশি হবে বলে আশঙ্কা।


শুরু হল পদ্মার ইলিশ বিক্রি: গতকালই পেট্রাপোল সীমান্ত পার হয়ে রাজ্য়ে ঢুকেছে পাদ্মার ইলিশ। আজ হাওড়া পাইকারি বাজারে ৭০ মেট্রিক টন ইলিশ ঢুকেছে। ৩০ অক্টোবরের মধ্যে ৩ হাজার ৯৫০ মেট্রিক টন ইলিশ ঢোকার কথা রাজ্য়ে। কিন্তু, ডিম পাড়ার মরসুম হওয়ায় ১২ অক্টোবর থেকে ২২ দিনের জন্য় ইলিশ মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বাংলাদেশ সরকার। নভেম্বর পর্যন্ত রাজ্য়ে ইলিশ ঢোকায় ছাড়পত্র দেওয়া হোক, চাইছেন এ রাজ্য়ের মাছ ব্য়বসায়ীরা।


পুজোর আগেই এপার বাংলাকে উপহার ওপার বাংলার। বাংলাদেশ থেকে এই মাসেই বাংলায় আসছে ৩ হাজার ৯৫০ টন ইলিশ। ৩০ শে সেপ্টেম্বরের মধ্যেই ধাপে ধাপে এসে পৌঁছবে প্রায় চার হাজার টন রূপোলি শস্য। বাঙালির পাতে পড়বে পদ্মা, মেঘনার ইলিশ। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার পেট্রাপোল দিয়ে এসেছে ৭০ টন সোনালি শস্য়। বাজার দর মোটামুটি কেজি প্রতি হাজার থেকে ১৫০০ টাকা।


এদিন সকাল থেকেই শহর ও শহরতলির বিভিন্ন বাজারে বাংলাদেশের এই ইলিশ পৌঁছে গিয়েছs। গতকাল কলকাতায় বাংলাদেশ উপ দূতাবাসের প্রথম সচিব(প্রেস) রঞ্জন সেন বলেন, “কালকেই অর্ডার হয়েছে বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে ৩৯৫০ টন ইলিশ পাঠানো হবে। ৩০ অক্টোবরের মধ্যে ৩৯৫০ টন ইলিশ পাঠাবে।’’ফিস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অতুলচন্দ্র দাস বলেন, “শেখ হাসিনা সরকার ভারত ও বাংলার সাথে গভীর সম্পর্ক। এটা বাংলাদেশ সরকারের রাজনৈতিক অঙ্গীকার। যারা আমদানি করে এরকম ৭৯ জনকে বাছা হয়েছে।’’


ফিস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (Fish Importers Assosiation) সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ গতকাল জানিয়েছিলেন, সাতশো গ্রাম থেকে এক কিলো ২০০ গ্রামের ইলিশ আসবে। ইলিশ আসার পরিমাণ বাড়লে রাজ্যে রুপোলি শস্যের দাম কমবে বলেও প্রত্যাশা তাঁর। বাংলাদেশ থেকে যে ইলিশ এসে পৌঁছচ্ছে তা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে যাবে। মূলত কলকাতা ও তৎসংলগ্ন শহরতলীতে যাবে যার বেশিরভাগ।


আরও পড়ুন: C V Anand Bose: 'মিস্ট্রি চিঠি হিস্ট্রি হয়ে গেছে' ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য় রাজ্য়পালের