সুকান্ত মুখোপাধ্যায় ও রঞ্জিত সাউ, কলকাতা: সল্টলেকের নয়াপট্টিতে আবর্জনার ভ্যাটে বিস্ফোরণে জখম দুই বালক। দু’জনকেই বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিত্‍সা করানো হয়।


প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, পুরনো ব্যাটারি থেকে বিস্ফোরণ ঘটে থাকতে পারে। ব্যস্ত সকালে আচমকা ভ্যাটে বিস্ফোরণ! আহত ২ বালক। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ এই ঘটনা ঘটল সল্টলেকের নয়াপট্টিতে। 


প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, কয়েকজন বালক সেখানে মার্বেল নিয়ে খেলছিল। খেলতে খেলতে মার্বেল চলে যায় পাশের ভ্যাটে। দুই বালক সেখানে মার্বেল কুড়োতে যেতেই আচমকা বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনাস্থলে আসে ইলেকট্রনিক কমপ্লেক্স থানার পুলিশ ও বিধাননগর কমিশনারেটের বম্ব স্কোয়াড। আনা হয় ডগ স্কোয়াডকেও।  


পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ব্যাটারি থেকে বিস্ফোরণ ঘটে থাকতে পারে।  ধাননগর কমিশনারেটের ডিসি ট্রাফিক ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বিধাননগর পুরসভার এই ভ্যাটটি দীর্ঘদিন সাফাই করা হয় না।  ঘটনাস্থলে যান বিধাননগরের বিধায়ক এবং দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। বিস্ফোরণে আহত, ৯ এবং ১১ বছর বয়সী ২ বালককে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 


অন্যদিকে হুগলির চন্দননগরেও শুরু হয়েছে ভ্যাট রাজনীতি। ৮,৯,১০ ও ৩৩, এই ৪টি ওয়ার্ডের বাসিন্দারা দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ। চন্দননগরের বাসিন্দা সুদীপ্তা রায়ের কথায়, যখন গন্ধ বেরোয় খাবার ছেড়ে উঠে যেতে হয়। বাচ্চা আছে। এখানকার জন্য রোগ আরও ছড়াবে। রাস্তা দিয়ে যাওয়া যায় না। নোংরা নিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তায় পড়ে।


চন্দননগরের আরেক বাসিন্দা মিনতি ধাড়ার কথায়, গন্ধে থাকা যায় না। ঝড় জল হলে কাগজে ভরে যায়। নোংরা ঘরে ঢুকে যায়। সাধারণ মানুষের ক্ষোভ সামনে আসতেই সুর চড়িয়েছে বিরোধী শিবির। ফের ভাগাড় অন্যত্র সরানোর দাবি উঠছে।


হুগলি সাংগঠনিক জেলার বিজেপি যুব মোর্চার সভাপতি সুরেশ সাউয়ের কথায়, মানুষের দাবি ভাগাড় সরানো হোক। আমরাও বলেছি বারবার। তৃণমূলের কী মধু আছে জানি না, ১০ বছরের বেশি হয়ে গেল। এখান থেকে ভাগাড় সরাচ্ছে না।


চন্দননগর পুরনিগম সিপিএম কর্মী ও প্রাক্তন কাউন্সিলর গোপাল দাসের কথায়, যখন বামপন্থী পুরবোর্ড ছিল, তখন ভাগাড় থেকে সম্পদ তৈরি করেছে। সার কারখানা করেছিল। পার্ক করেছিল। আবার ভাগাড়কে ভাগাড়ে পরিণত করেছে। দুর্গন্ধ। জঞ্জালের পাহাড়। মানুষকে নাজেহাল হতে হচ্ছে।


গত পুরভোটে ৩৩টির মধ্যে ২৩টি ওয়ার্ড জিতে চন্দননগর কর্পোরেশন দখল করেছিল তৃণমূল। বোর্ডের মেয়াদ ফুরনোর পর প্রশাসক বসিয়ে কাজ চলছে। কর্তৃপক্ষের আশ্বাস শিগগিরই মিটে যাবে ভাগাড় সমস্যা।