প্রকাশ সিনহা, সল্টলেক : সল্টলেকে বিপুল পরিমাণ সোনার হদিশ । বিই ব্লকে ইডির তল্লাশিতে উদ্ধার হল ৫কোটি টাকার সোনা । ব্যাঙ্ক-প্রতারণার মামলায় দিনভর ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি। প্রায় ৭ কেজি সোনা উদ্ধার করল ইডি । এই বিপুল পরিমাণে সোনার উৎস কী, জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ব্যবসায়ীকে।


গতকাল সারাদিন তল্লাশি চালিয়ে ৫ কোটি টাকার সোনা উদ্ধার করা হয়েছে। ইডি সূত্রের খবর, কোটি কোটি টাকার প্রতারণার একটি মামলার তদন্ত করতে গিয়ে এই ব্যবসায়ীর নাম উঠে আসে। গতকাল সকাল থেকে সেখানে তল্লাশি চালান কেন্দ্রীয় এজেন্সির আধিকারিকরা। প্রাথমিকভাবে ইডি সূত্রের খবর, প্রায় ৭ কেজি সোনা পাওয়া গিয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য ৫ কোটি টাকা। এর বাইরেও কিছু নগদ টাকা পাওয়া গিয়েছে এবং কিছু নথি পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু, এই ৫ কোটি টাকার সোনা একজন ব্যবসায়ী কেন নিজের বাড়িতে রাখবেন ? সেটা নিয়েই তদন্ত শুরু হয়েছে। ব্যবসায়ীর পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন ইডি আধিকারিকরা। টাকার উৎস কী ছিল তা দেখা হচ্ছে। কী উদ্দেশ্যে এত বিপুল পরিমাণ সোনা বাড়িতে রাখা ছিল তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছেন ইডি আধিকারিকরা।


দিনকয়েক আগেই আর জি কর মেডিক্যালে দুর্নীতির অভিযোগ সংক্রান্ত মামলায় CBI-এর হাতে সন্দীপ ঘোষের গ্রেফতারির পরের দিনই বেসরকারি স্কুলে দুর্নীতি মামলার তদন্তে শহরে ED-র অ্যাকশন শুরু হয়। সকাল সকাল ইডির গন্তব্য হয়ে দাঁড়ায় কলকাতার প্রখ্যাত সাউথ পয়েন্ট স্কুল। দুর্নীতির অভিযোগ সংক্রান্ত মামলায় সকাল থেকে একাধিক জায়গায় চলে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের অভিযান। কিন্তু হঠাৎ সাউথ পয়েন্ট স্কুলের নাম কেন জড়াল দুর্নীতিতে ? 


আসলে মামলাটি পুরনো। স্কুলের  ট্রাস্টি বোর্ডের প্রাক্তন সদস্য কৃষ্ণ দামানির বিরুদ্ধে দুর্নীতির লম্বা অভিযোগ ছিলই, তার তদন্ত একটা সময় ছিল কলকাতা পুলিশের হাতে। কোটি কোটি টাকা আর্থিক তছরুপের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন কৃষ্ণ দামানি। স্কুলের দায়িত্বে থাকাকালীনই এই দামানি নাকি কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি করেন। সেই টাকা কোথায় পাচার হয়েছে, কার অ্যাকাউন্টে গিয়েছে, তাই খতিয়ে দেখে ইডি। 


সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে নিউ আলিপুরে হানা দেয় ED-র একটি টিম। প্রায় একই সময়ে ED-র আরেকটি টিম পৌঁছে যায় কসবার কায়স্থ পাড়ায়। নিউ আলিপুরে বি ব্লকের নলিনী রঞ্জন অ্যাভিনিউতে ৮৮/১ বাড়িটি হল সাউথ পয়েন্টের পরিচালন সমিতির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুশীল কুমার দাগার। সকাল সকাল সেখানে পৌঁছে যায় ED-র টিম। কেন্দ্রীয় এজেন্সির আরেকটি টিম হানা দেয় কসবার কায়স্থ পাড়ায় কে কে মালব্যর বাড়িতে। সাউথ পয়েন্টে দুর্নীতির অভিযোগে এর আগে তদন্ত করেছে কলকাতা পুলিশও। কোটি কোটি টাকা আর্থিক তছরুপের অভিযোগে গ্রেফতার হন স্কুলের  ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য কৃষ্ণ দামানি।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে