সৌভিক মজুমদার, কলকাতা : সন্দেশখালি ইস্যুতে ( Sandeshkhali Case ) মেয়ো রোডে গান্ধী মূর্তির নীচে ধর্নায় বসতে চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ( Sukanta Majumdar ) ।


বিচারপতি কৌশিক চন্দর এজলাসে বঙ্গ বিজেপির আর্জি, সন্দেশখালির ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ধর্নায় বসতে চায় তারা। রবিবার রাজ্য বিজেপির আবেদন খারিজ করে কলকাতা পুলিশ। বিজেপির আইনজীবীর সওয়াল, একই জায়গায় ১২ দিন ধর্নায় বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বিরোধীদের কেন আটকানো হচ্ছে? প্রশ্ন বিজেপির আইনজীবীর। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি রয়েছে। 


পুলিশ অনুমতি না দিলেও অবস্থানে বসা হবেই, জানিয়ে দিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। তাই ,সোমবার সকাল থেকেই গোটা এলাকায় মোতায়েন করা হয় প্রচুর পুলিশ। আনা হয় প্রিজন ভ্যান। পুলিশ জানিয়েছে, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন মাইক ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা এবং গান্ধী মূর্তির নীচে চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান, এই কারণে অনুমতি দেওয়া যায়নি।  


রবিবার বিকেলেই ধর্নার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে মেয়ো রোডে যান উত্তর কলকাতা জেলা বিজেপির সভাপতি তমঘ্ন ঘোষ। তিনি জানান, সোমবার মঞ্চ বেঁধে ধর্না করবে বিজেপি, দাবি রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের। 


অন্যদিকে, সোমবারই দলীয় পদ থেকে সরানোর পর গ্রেফতার হন সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা অজিত মাইতি। তাঁর বিরুদ্ধে জমি কেড়ে নেওয়া, হুমকি, মারধরের একাধিক অভিযোগ পুলিশের কাছে জমা পড়ে। তার ভিত্তিতেই  সোমবার শেখ শাহজাহান ঘনিষ্ঠ অজিত মাইতিকে গ্রেফতার করে সন্দেশখালি থানার পুলিশ।


রবিবার তৃণমূল নেতাকে তাড়া করেন মহিলারা। ভয়ে বেড়মজুরে এক সিভিক ভলান্টিয়ারের বাড়িতে আশ্রয় নেন শেখ শাহজাহানের শাগরেদ। তৃণমূল নেতাকে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানান গ্রামবাসীরা। চাপের মুখে সাড়ে চারঘণ্টা পর, সিভিক ভলান্টিয়ারের বাড়ি থেকেই অজিত মাইতিকে আটক করে মিনাখাঁ থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।          


আরও পড়ুন :  


জ্ঞানবাপীর 'ব্যাস কি তহখানা'য় পুজো চলবে, মুসলিম পক্ষের আর্জি খারিজ করল ইলাহাবাদ হাইকোর্ট 


সন্দেশখালিতে সোমবার ক্ষোভের আগুন ছড়িয়েছে বেড়মজুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের পোলপাড়া এলাকায়। অভিযোগ, তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য শঙ্কর সর্দার আদিবাসী বর্গাদারদের জমির নকল দলিল বানিয়ে তা বিক্রি করে দেন। ঝাঁটা, লাঠি, জুতো হাতে নিয়ে মহিলারা রওনা দেন তৃণমূল নেতা শঙ্কর সর্দারের বাড়ির দিকে। শেখ সিরাজউদ্দিন, অজিত মাইতির বিরুদ্ধেও অভিযোগ জানান গ্রামবাসীরা।