সমীরণ পাল, ঝিলম করঞ্জাই , ঋত্বিক প্রধান, সন্দেশখালি : সন্দেশখালি ( Sandeshkhali )  অগ্নিগর্ভ হওয়ার পর থেকে শাসকদলের নেতাদের  মুখেই একটাই প্রশ্ন, অভিযোগ সত্য়ি হলে এতদিন সন্দেশখালির সিপিএমের ( CPM ) প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দার ( Nirapada Sardar ) এ নিয়ে মুখ খোলেননি কেন? তিনি তো ২০১৬ সাল অবধি বিধায়ক ছিলেন। কিন্তু এবার বেরিয়ে এল সত্যিটা । তৃণমূলকে জবাব দিতে সোশাল মিডিয়ায়, পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার ২০১৩ সালের বাজেট অধিবেশনে লিপিবদ্ধ সন্দেশখালির তৎকালীন সিপিএম বিধায়ক নিরাপদ সর্দারের বক্তব্য তুলে ধরেছেন সিপিএম নেতা বংশগোপাল চৌধুরী। যেখানে দেখা যাচ্ছে, ২০১৩ সালেই ঘরছাড়া প্রসঙ্গ থেকে গণধর্ষণের হুমকির অভিযোগ পর্যন্ত তুলেছিলেন সিপিএম বিধায়ক নিরাপদ সর্দার। এবং যেখানে গ্যাং রেপের প্রসঙ্গ উল্লেখ করা হচ্ছে, সেই সময়ই 'মাইক অফ হয়ে যায়' বলে লেখা রয়েছে বংশগোপাল চৌধুরীর পোস্টে শেয়ার করা বিধানসভার কার্যবিবরণীর ছবিতে।



একটিতে দেখা যাচ্ছে, নিরাপদ সর্দারের নামে লিপিবদ্ধ বক্তব্যে বলা হয়েছে - জমি যাতে এরা ফেরত পায় এবং পুলিশ যাতে নিরপেক্ষভাবে বর্গাদারের পক্ষে কাজ করে, সেই দাবি করছি এই সভাতে। কোনওটাতে লেখা, গত ৩১ শে মে সন্দেশখালি, জেরিয়াখালি গ্রাম পঞ্চায়েতে চারজন বর্গাদারকে জোর পূর্বক উচ্ছেদ করা হয়েছে।  হঠাৎ করে ৩১ তারিখে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী জোর করে এদের কাছ থেকে জমি কেড়ে নিয়েছে। পুলিশের কাছে এরা গেছে কিন্তু থানায় এফআইআর করতে পারেনি।  



নিরাপদও দাবি করেছেন, 'সব জানিয়েছি। সব জানিয়েছি বিধানসভাতে আমি। জমি লুঠ হয়েছে সব জানিয়েছি বিধানসভাতে। বিধানসভায় ১০০ বার জানিয়েছি। ২০১৩-১৪। আজকের শাহজাহানরা, শাহজাহানদের বিরুদ্ধে, তৃণমূলের বিরুদ্ধে জানিয়েছি' । এরফলে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে, তবে কি সন্দেশখালির তৎকালীন সিপিএম বিধায়ক প্রশ্ন তোলার পরও, তাতে কোনও গুরুত্ব দেয়নি প্রশাসন? 


এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের যুক্তি, বিধানসভায় উনি বলেছেন, 'প্রেস মিট করেননি কেন..সেলিম, সুজনকে পাশে বসিয়ে প্রেস মিট করতে পারতেন। এখন আচমকা দাবি করছেন বিধানসভায় বলেছেন।' সিপিএমের বিধায়ক বলেই কি সেই সময় নিরাপদ সর্দারের কথা প্রশাসন কানে তোলেনি? তার ফলেই কি আজকের এই পরিস্থিতি?  


আরও পড়ুন :                                                                


'শান্তিপূর্ণ অবস্থান ও ধর্নার অধিকার সকলের', মেয়ো রোডে বিজেপির সভায় অনুমতি হাইকোর্টের