সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: বিজেপির ধর্নায় (BJP Rally) অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court), ফের ধাক্কা রাজ্যের। মঙ্গলবার শুনানি শেষে মেয়ো রোডে গাঁধী মূর্তির পাদদেশে বিজেপির ধর্নায় অনুমতি দেয় আদালত। সন্দেশখালিকাণ্ডের প্রতিবাদে বিজেপি যে ধর্না করতে চায়, এদিন সেই সংক্রান্ত মামলাতেই অনুমতি দিয়েছে হাইকোর্ট। তবে সঙ্গে জানানো হয়েছে, মাইক, লাউড স্পিকার ছাড়া ধর্নায় বসতে পারবে বিজেপি। আগামীকাল ও পরশু, অর্থাৎ ২৮ ও ২৯ ফেব্রুয়ারি ধর্নায় বসার কথা বিজেপির। তাতে অনুমতি দেওয়ার পাশাপাশি সেখানে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকেও থাকতে অনুমতি দিয়েছে হাইকোর্ট। বিচারপতি কৌশিক চন্দ বলেন, 'শান্তিপূর্ণ অবস্থান ও ধর্নার অধিকার সকলের।'


কী পর্যবেক্ষণ আদালতের?
কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়েছে, আগামী ২৮ ও ২৯ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত ধর্নায় বসতে পারবে বিজেপি। তবে একই সঙ্গে কোর্ট এও জানিয়েছে, নেতা-কর্মী মিলিয়ে ১৫০ জনের বেশি জমায়েত করা যাবে না। বাজানো যাবে না মাইক, লাউড স্পিকার। প্রাথমিক ভাবে ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই ধর্না কর্মসূচি হওয়ার কথা ছিল।  কিন্তু অনুমতি না মেলায় তারা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। 


প্রেক্ষাপট...
গত রবিবার, সভার জন্য রাজ্য বিজেপির আবেদন খারিজ করে দেয় কলকাতা পুলিশ। বিজেপির আইনজীবী অবশ্য সওয়াল করেন, একই জায়গায় ১২ দিন ধর্নায় বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বিরোধীদের কেন আটকানো হচ্ছে? পুলিশ অনুমতি না দিলেও অবস্থানে যে বসা হবেই, সে কথা জানিয়ে দেয় বিজেপি নেতৃত্ব। গত কাল, অর্থাৎ সোমবার সকাল থেকে গোটা এলাকায় প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়। আনা হয় প্রিজন ভ্যান। পুলিশ জানায়, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন মাইক ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা এবং গান্ধী মূর্তির নীচে চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান, এই কারণে অনুমতি দেওয়া যায়নি। রবিবার বিকেলেই ধর্নার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে মেয়ো রোডে যান উত্তর কলকাতা জেলা বিজেপির সভাপতি তমঘ্ন ঘোষ। সোমবার মঞ্চ বেঁধে ধর্না করবে বিজেপি, দাবি রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের। প্রসঙ্গত, আজ, পুলিশের নজর এড়িয়ে সন্দেশখালিতে যান বাম মনোভাবাপন্ন বিশিষ্ট জনেরা। দলে ছিলেন বাদশা মৈত্র, সৌরভ পালোধি, দেবদূত ঘোষ-সহ বেশ কয়েকজন। সন্দেশখালির বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা । টোটোয় সন্দেশখালির ভিতরেও ঢোকেন বাদশা, দেবদূতরা।


আরও পড়ুন:শাল নদীর চরে কী আছে ওই ব্যাগে ? উঁকি দিতেই থরহরি কম্প