সমীরণ পাল, ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, কলকাতা : মেয়াদ শেষের পরও সন্দেশখালি ২ নম্বর ব্লকের ৫টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৯ টি জায়গায় জারি রইল ১৪৪ ধারা ( Section 144 ) । শুক্রবার সন্দেশখালি যাচ্ছেন বিজেপির মহিলা নেত্রীরা, থাকছেন লকেট-অগ্নিমিত্রারা। এলাকার ৫টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৯টি জায়গায় বহাল রইল ১৪৪ ধারা। ধামাখালি ঘাটেও জারি ১৪৪।  বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে এই ধারা জারি করা হয়েছে। 


সন্দেশখালি ( Sandeshkhali ) গ্রাম পঞ্চায়েতের ত্রিমণি বাজার, খুলনা ঘাট, পাত্রপাড়া, দুর্গামণ্ডপ গ্রাম পঞ্চায়েতের গাববেড়িয়া বাজার, খুলনা গ্রাম পঞ্চায়েতের শীতুলিয়া বাজার, খুলনা বাজার ও হাটগাছা বাজারে ফের ১৪৪ ধারা জারি করল পুলিশ। এছাড়া, বেড়মজুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ধামাখালি ঘাটেও জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে জেলিয়াখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের হালদার পাড়ায়। 


কোথায় কোথায় ১৪৪ ধারা ?


এর আগে সন্দেশখালি ২ নম্বর ব্লকের সন্দেশখালি গ্রাম পঞ্চায়েত-সহ ১২টি জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি ছিল। ২০ ফেব্রুয়ারি, শুভেন্দু অধিকারী যেদিন সন্দেশখালিতে যান সেদিন সকাল থেকে নতুন করে ১৪৪ ধারা জারি করে পুলিশ। এর আগের দিনই অর্থাৎ ১৯ ফেব্রুয়ারি সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারার উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করে কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু,২০ তারিখ সকাল থেকে নতুন করে সন্দেশখালির বেশকিছু এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে পুলিশ। তার মেয়াদ শেষ হয় শুক্রবারই। সন্দেশখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের ভোলাখালি ঘাট ও সন্দেশখালি ঘাট থেকে ১৪৪ ধারা তুলে নেওয়া হয়েছে।


গত ২০ তারিখ সন্দেশখালিতে তৃতীয় দফায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয় ১২টি জায়গায় । তার আগে সন্দেশখালির ১৫টি জায়গায় ১৪৪ ধারা জারির নির্দেশে  স্থগিতাদেশ জারি করে কলকাতা হাইকোর্ট। ওই স্থগিতাদেশ আগের নির্দেশিকার প্রেক্ষিতে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়ে ২০ তারিখ সকাল ৯টা থেকে ফের ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। 


সন্দেশখালিতে পৌঁছেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন


এই আবহেই, জাতীয় SC কমিশন, জাতীয় মহিলা কমিশন, জাতীয় ST কমিশনের পর এবার সন্দেশখালিতে পৌঁছেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। সূত্রের খবর, গ্রামে গ্রামে গিয়ে বাসিন্দাদের অভিযোগ শুনবেন তারা। এর আগে সন্দেশখালিকাণ্ডে স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে তৎপর হয়েছিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। সন্দেশখালিতে যে সব অভিযোগ উঠেছে তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করে মুখ্যসচিব ভগবতীপ্রসাদ গোপালিকা এবং ডিজি রাজীব কুমারকে নোটিসও দেওয়া হয়েছে বলে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তরফে জানানো হয়। রাজ্য প্রশাসনের দুই শীর্ষ কর্তার থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে জবাব তলব করা হয়েছে বলে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে।  


আরও পড়ুন, সন্দেশখালিতে অ্যাকশনে রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার, 'কড়া ব্যবস্থা'র হুঁশিয়ারি           
দেখুন আইডিয়াজ অফ ইন্ডিয়া ২০২৪ এই লিঙ্কে - https://events.abpverse.com/