উত্তর ২৪ পরগনা: এবার ঝাঁটা-লাঠি হাতে সন্দেশখালির মহিলাদের একাংশের রাত জেগে পাহারা দেওয়ার ভিডিও ভাইরাল (Sandeshkhali Viral Video)। ভাইরাল ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে ঝাঁটা-লাঠি নিয়ে রাত জেগে রাস্তায় বসে পাহারা দিচ্ছেন বেড়মজুর এলাকার মহিলারা।
সন্দেশখালির বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, রাত হলেই তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা এলাকায় গিয়ে সাধারণ মানুষকে ভয় দেখাচ্ছে। দেওয়া হচ্ছে প্রাণনাশের হুমকিও', গ্রামে তল্লাশি চালানোর নামে পুলিশ অত্য়াচার চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ। রবিবার থেকে সন্দেশখালিতে তল্লাশি জোরদার করেছে পুলিশ। এরপর গতকাল রাতে মহিলাদের পাহারা দেওয়ার এই ভিডিও ভাইরাল হল।
শুধুমাত্র একের পর এক ভিডিও ভাইরাল হওয়ার ঘটনাই নয় , শুক্রবার অস্ত্র উদ্ধার, শনিবার 'ডাকাতি'এবং রবিবার আক্রান্ত তৃণমূল।কখনও অস্ত্র উদ্ধার,তো কখনও ডাকাতির অভিযোগ,তারই মধ্যে তৃণমূল নেতাকে ফেলে মার।সব মিলিয়ে লোকসভা ভোটের মাঝে বঙ্গ রাজনীতির এপিসেন্টার সেই সন্দেশখালিই।
সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতাদের মারধরের ঘটনায় চার বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যদিও, জেলিয়াখালিতে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। পুলিশ কি আমরা-ওরা নীতি নিয়েছে? প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। শেখ শাহজাহান-সহ অনেককেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পাল্টা যুক্তি দিল তৃণমূল।
বিজেপির আন্দোলন ঘিরে ফের উত্তপ্ত সন্দেশখালি।বিক্ষোভকারীদের টেনে হিঁচড়ে তুলল পুলিশ। তাড়া করে ঢুকল গ্রামের ভিতরে। ়এর ২৪ ঘণ্টা আগে একইভাবে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সন্দেশখালি।শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন,ভুয়ো ভিডিওর বিরুদ্ধে তৃণমূলের গুন্ডারা যেভাবে জনতার হাতে ধোলাই খেয়েছে, আগামীদিনে এই একই পরিণতি ভাইপোর হবে। একই পরিণতি হবে।
কিন্তু কোনও ঘটনায় একাধিক গ্রেফতার, তো কোনও ঘটনায় সংখ্যাটা শূন্য।আর এখানেই ফের প্রশ্নের মুখে পড়েছে পুলিশের ভূমিকা।শুক্রবার জেলিয়াখালিতে পিঁপড়াখালি ফেরিঘাট এলাকায় বসিরহাট লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী হাজি নুরুল ইসলামের সমর্থনে মিছিল ও সভা ছিল। বিজেপির দাবি, সেই সভাস্থলের আশেপাশে তৃণমূল আশ্রিত সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা ঘোরাফেরা করছিল। তখন গোলাম শেখ নামে এক দুষ্কৃতীর কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছিল এই লং ব্যারেল রাইফেল।
আরও পড়ুন, মঙ্গলে পেট্রোলের দরে স্বস্তি হাওড়ায়, দাম কমল কি কলকাতায় ?
কিন্তু, ৩ দিন পেরিয়ে গেলেও সেই ঘটনায় একজনকেও গ্রেফতার করেনি পুলিশ।অস্ত্র উদ্ধারের ২৪ ঘণ্টার মধ্য়ে, শনিবার সন্দেশখালির পিপড়াখালি ফেরিঘাটে ডাকাতির অভিযোগ ওঠে। ফেরিঘাটের মালিকের অভিযোগ, তাঁকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে টাকা লুঠ করা হয়। সঙ্গে সঙ্গে বিজেপি কর্মী ধর্মেন্দ্র সর্দারকে গ্রেফতার করে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।