কলকাতা : বাংলা সঙ্গীতের স্বর্ণযুগের তিনি অন্যতম রূপকার। তিনি নিজেই এক চলমান ইতিহাস। বাঙালির নস্টালজিয়ায় অনন্তের জন্য তাঁর অধিষ্ঠান। তিনি গীতশ্রী, বাংলা সঙ্গীতের প্রাণ। এই মানুষটিই জানুয়ারির শেষ থেকে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন হাসপাতালের বেডে। তবে ওমিক্রনের প্রকোপ কাটিয়ে উঠেছেন গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় (Sandhya Mukhopadhyay Health Update) । আপাতত শিল্পীর অবস্থা স্থিতিশীল। এবিপি আনন্দকে রবিবার  মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) জানান, শিল্পীর অবস্থা স্থিতিশীল হলেও সঙ্কটকাল কাটেনি। 


সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে নিয়েও উদ্বেগে রয়েছেন বাংলার মানুষ। শারীরিক অবস্থার আগের থেকে উন্নতি হলেও এখনও সঙ্কটজনক সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। অ্যাপোলো হাসপাতাল সূত্রে খবর, অক্সিজেন সাপোর্ট ছাড়াই অক্সিজেনের মাত্রা স্বাভাবিক রয়েছে সঙ্গীতশিল্পীর। রাইলস টিউব ছাড়াই খাবার খাচ্ছেন তিনি।  


আরও পড়ুন : ওমিক্রন কাটিয়ে উঠেছেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, রিপোর্ট নেগেটিভ, জানালেন মমতা


গত ২৭ জানুয়ারি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। লেক গার্ডেন্সের বাড়ি থেকে গ্রিন করিডর করে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএমে। উডবার্ন ব্লকে ভর্তি করা হয় বর্ষীয়ান শিল্পীকে । তার আগে কয়েকদিন আগে শৌচাগারে পড়ে কোমরে চোট পান সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। তারপর থেকেই অসুস্থতা বাড়ে। ফুসফুসে সংক্রমণ বাড়ায়  শিল্পীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। চিকিত্সক এসে RT-PCR টেস্টের পরামর্শ দেন। সূত্রের খবর, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিতে তাঁর কন্যাকে ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী। হাসপাতাল সূত্রে খবর, প্রবীণ শিল্পীর চিকিত্সায় গড়া হয়েছে মেডিক্যাল বোর্ড। 


এরপর থেকেই মুখ্যমন্ত্রী তাঁর পরিবারের লোকজনের থেকে নিয়মিত খোঁজ রাখছেন গীতশ্রীর। 


গত ২৫ জানুয়ারি জানা যায়, কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের কাছে ফোন আসে।  তাঁকে পদ্ম-সম্মান দেওয়ার কথা জানানো হয়। যদিও, প্রবাদপ্রতিম সঙ্গীতশিল্পী এই সম্মান প্রত্যাখ্যান করেন। এবিপি আনন্দকে গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় জানান, ' প্রত্যাখ্যান করেছি। পুরস্কার নিতে মন চাইছে না। ' এরপরই শারীরিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। ২৭ রারিখ তাঁর অবস্থা সঙ্কটজনক হয়।