Sandhya Mukhopadhyay Demise: সুর থামল সন্ধ্যায়। চলে গেলেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। প্রিয় শিল্পীর প্রয়াণে শোকের ছায়া অনুরাগী থেকে সঙ্গীত মহলে। স্মৃতি হাতড়ে গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের কথা তুলে ধরলেন সঙ্গীতশিল্পী শিবাজি চট্টোপাধ্যায়। 


এদিন তিনি বলেন, ''আমি কারও সঙ্গে ওনার তুলনা করছি না। এরকম শিল্পী সারা দেশে হয় না। একজন উঠতি শিল্পীকেও ফোন করতেন। জিজ্ঞাসা করতেন কী গান করছেন। সবার জন্য ওনার  স্নেহ বা পরামর্শ দেওয়ার একটা আলাদা বিষয় ছিল।'' এখানেই থেমে থাকেনি সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে শিল্পীর স্মৃতিচারণা।


প্রিয় শিল্পীকে নিয়ে শিবাজি চট্টোপাধ্যায় বলেন, ''একটা কানে একটু কম শুনতেন। যা নিয়ে আমি একটু রসিকতা করতাম। বলতাম, একদিক থেকে ভালোই হয়েছে। ভগবানই আপনার একটা কান বন্ধ করে দিয়েছে। আমাদের নিজের সুর বুঝতে এক কান বন্ধ করতে হয়। আপনার আর তা করতে হয় না। তাই এত ভাল সুর বোঝেন।'' ওনার বাড়ি- ঘর দেখে মনে হোতো যেন বেলুড় মঠে এসেছি। প্রতিটি শিল্পীকে ফোন করতেন। খুব খাওয়াতে ভালবাসতেন। 


এখানেই শেষ হয়নি সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় নিয়ে শিল্পীর স্মৃতি ভাণ্ডার। শিবাজি চট্টোপাধ্যায় জানান, '' কয়েক বছর আগেও এক অনুষ্ঠানে ওনার গান শোনা গেছে।  উনি প্রতিদিন রেওয়াজ করতেন। যার ফল ওনার গলায় শোনা যেত। ৮৪ বছর বয়সেও উনি স্টেজে যেভাবে গান করেছেন তা ভাবার অতীত।'' 


এদিন গীতশ্রীর স্মৃতিচারণায় পন্ডিত অজয় চক্রবর্তী বলেন,"কোনও ভাষা তো নেই। সবাই একদিন পৃথিবী ছেড়ে চলে যাবেন কিন্তু দুঃখজনক। তিনি আমার গুরু বোন ছিলেন। দীর্ঘদিন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, সুচিত্রা সেন, উত্তম কুমার একসঙ্গে মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছিল। যাওয়ার আগে দুঃখও পেয়ে গিয়েছেন। খুব খারাপ লেগেছে। ওঁর প্রতি শ্রদ্ধা কোনও ভাষা দিয়ে ব্যক্ত করার নয়। গানের স্বপ্ন দেখাবার মানুষ চলে গেলেন। অপূরণীয় ক্ষতি। বাংলার আকাশে মাতৃসুলভ নক্ষত্রের পতন। ওঁকে কেউ নিয়ে যেতে পারবে না। উনি অমর হয়ে থাকবেন।''