স্টিল এক্সপ্রেসের স্টপেজ ও লোকাল ট্রেনের ভাড়া কমানোর দাবিতে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের সরডিহা স্টেশনে রেল অবরোধ। সকাল সাড়ে ৭টা থেকে ঝাড়গ্রাম ও খড়গপুরের মাঝে সরডিহা স্টেশনে রেল অবরোধ শুরু হয়। বিক্ষোভকারীদের দাবি, কোভিড পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও স্টিল এক্সপ্রেসের স্টপেজ আজও চালু হয়নি। ৫ বার অবরোধ, সাংসদের প্রতিশ্রুতির পরেও মেলেনি সুরাহা। পাশাপাশি, লোকাল ট্রেনে প্যাসেঞ্জার ট্রেনের ভাড়া নেওয়া হচ্ছে বলেও বিক্ষোভকারীদের দাবি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান খড়গপুর ডিভিশনের জিআরএম। রেলের আশ্বাসে দেড়ঘণ্টা পর অবরোধ ওঠে। 


পূর্ণ দিবস সরকারি ছুটির দাবি:  ঐতিহ্যবাহী করম পুজোয় ( Karam Puja ) পূর্ণদিবস ছুটির দাবিতে জঙ্গলমহলের চার জেলায় সকাল থেকে পথে নেমেছেন আদিবাসীরা। সকাল ৬টা থেকে সন্ধে ৬টা, ১২ ঘণ্টা পথ অবরোধের ডাক দিয়েছে আদিবাসী কুরমি সমাজ।


আগামী ৬ সেপ্টেম্বর জঙ্গল মহলের ঐতিহ্যবাহী উৎসব করম পুজো  উপলক্ষে পূর্ণ দিবস সরকারি ছুটির দাবিতে শনিবার জঙ্গলমহলের পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদনীপুর জুড়ে পথে নামে আদিবাসী কুরমি সমাজ ।  পুরুলিয়া জামসেদপুর ৩২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ হয়। এদিন অবরোধের জেরে স্তব্ধ হয়ে পড়ে পুরুলিয়ার জনজীবন । ঘুরপথে যাতায়াত করতে হচ্ছে। ভোগান্তির শিকার নিত্যযাত্রীরা। 


রামরাজাতলায় রেল অবরোধ: গত মাসে হাওড়ার রামরাজাতলা স্টেশনে চলে রেল অবরোধ। সাঁতরাগাছি স্টেশন (Santragachi Rail Station) আরপিএফের লাঠিতে এক হকারের মাথা ফাটার অভিযোগে বিক্ষোভ। আরপিএফের লাঠিচার্জের অভিযোগে হকারের মাথা ফাটার জেরে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের সাঁতরাগাছির পাশের রামরাজাতলা স্টেশনে চলে রেল অবরোধ। যার জেরে একাধিক লোকাল ও দূরপাল্লার ট্রেন (Train) বিভিন্ন স্টেশনে দাঁড়িয়ে যায়। রাতের দিকে ঘণ্টা দেড়েক অবরোধ চলার পর তা উঠে যায়। যদিও লাঠিচার্জের অভিযোগ উড়িয়ে আরপিএফ সূত্রে পাল্টা দাবি করা হয়েছে, বেআইনিভাবে স্টেশনে হকারি চকছিল। এতে বাধা দেওয়া হয়। পড়ে গিয়ে মাথা ফেটে যায় একজনের। সবমিলিয়ে গোটা ঘটনায় এলাকায় প্রবল উত্তেজনা তৈরি হয়।


কীভাবে ঘটনার সূত্রপাত: ঘটনার সূত্রপাত রাত সাড়ে আটটা নাগাদ। হকাররা দাবি সাঁতরাগাছি স্টেশনের দু'নম্বর প্লাটফর্মে কয়েকজন হকার জিনিস বিক্রির সময় আরপিএফ জওয়ানরা তাদের আটক করে এবং তাদের জিনিসপত্র রেল লাইনে ছুড়ে ফেলে দেয়। এতেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। দুই হকারকে আরপিএফ অফিসে আটক করে নিয়ে যায় সেই সময় অন্যান্য হকারদের খবর দিলে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে প্রায়  ১০০ জন হকার। তারা আরপিএফ অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। হকারদের অভিযোগ হঠাৎ কাউকে কিছু না বলে আরপিএফ জওয়ানরা তাদের ওপর লাঠি চালায়।